ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে পদ্মা নদী উত্তাল হয়ে পড়েছে। এর ফলে নদী ভাঙনের আশঙ্কায় নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন লৌহজংয়ের হাজারো পরিবার। উপজেলার সিংহেরহাটি গ্রামের বাসিন্দা কালাম ও মোস্তফার ভিটেবাড়ি গতরাতে পদ্মার বুকে বিলীন হয়ে গেছে।
২০২১ সালে শুরু হওয়া বাঁধ নির্মাণ চলাকালে রিমালে এ ভাঙন আতঙ্ক জাগাচ্ছে নদীতীরবর্তী হাজারো মানুষকে। অনেকেই ঝড়ের রাতে বাড়িঘর ভাঙনের আশঙ্কায় সতর্কতা অবলম্বন করছেন। কেউ কেউ আবার কাছাকাছি আত্মীয়ের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন।
গাওদিয়া গ্রামের কাজী বাবুল বলেন, পদ্মার ভাঙনে দুই দশক আগে বসতবাড়ি, জমাজমি হারিয়ে বর্তমানের স্থানে আছি। এখান থেকে নদী মাত্র ২০০ মিটার দূরে। আমরা ক্ষতিপূরণ চাই না। নদী শাসনের কাজ শেষ হলেই অনেক খুশি আমরা। তিনি আরও বলেন, শুকনো মৌসুমে কাজ হয়েছে সামান্যই। আমরা পদ্মাপাড়ের বাসিন্দারা খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে এ প্রকল্পের পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন দেখতে চাই।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জাকির হোসেন জানান, ভাঙনের ঝুঁকিতে থাকা এলাকায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের সহযোগিতার জিও ব্যাগ ফেলছি। সে আমাদের পুরোপুরি তদারকি রয়েছে।
তিনি আরও জানান, স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ হয়ে গেলে লৌহজংবাসীর আতঙ্কে দিন শেষ হয়ে যাবে। আমরা পানি উন্নয়ন বোর্ডকে দ্রুত গতিতে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছি।