জিডিপিতে অবদান থাকলেও অবহেলিত ‌‘বিলবোর্ড শিল্প’

0

রূপায়ন গ্রুপের চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ বিলবোর্ড এডভার্টাইজিং ওনার্স এসোসিয়েশনের উপদেষ্টা মো. লিয়াকত আলী খাঁন মুকুল বলেছেন, ‘বিপণন ও প্রচারের জন্য প্রিন্ট এবং ইলেকট্রনিক মিডিয়ার পাশাপাশি আউটডোর এডভার্টাজিং খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিশ্বজুড়ে এই শিল্পের কদর বাড়লেও দেশে এর যথাযথ মূল্যায়ন করা হয়নি।

শনিবার রাজধানীর একটি হোটেলে সম্মিলিত ব্যবসায়ী ফোরাম, বাংলাদেশ বিলবোর্ড এডভার্টাইজিং ওনার্স এসোসিয়েশন’র আলোচনা সভা ও প্রীতি সমাবেশে এসব কথা বলেন লিয়াকত আলী খাঁন মুকুল।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে লিয়াকত আলী খাঁন মুকুল বলেন, বিলবোর্ড একটা শিল্প। আমরা শিল্পীর মন নিয়ে শৈল্পিক কাজ করি। দেশের জিডিপির প্রবৃদ্ধিতে এই শিল্পের অনেক অবদান রয়েছে।

তিনি বলেন, বিলবোর্ড শিল্পের আরও উন্নয়ন ও সম্প্রসারণের জন্য নিজেদেরকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। সেজন্য যোগ্য নেতৃত্বের পাশাপাশি এই সংগঠনকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়া খুবই জরুরি।

‘আগের কমিটি নিয়ে বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে। সেজন্যই আজ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সদস্যরা এখানে এসেছেন। আগামীতে সব ধরনের অনিয়ম বন্ধ হোক। একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে যোগ্য নেতৃত্ব নির্বাচিত হয়ে সংগঠন আরও গতিশীল হবে সেই প্রত্যাশা করছি,’ যোগ করেন তিনি।

সদস্যদের সুবিধার কথা বিবেচনা করে পল্টনে সংগঠনের নিজস্ব কার্যালয়ের জন্য ১ হাজার বর্গফুটের একটি জায়গা উপহার দেওয়ার ঘোষণা দেন রুপায়ন গ্রুপের চেয়ারম্যান।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আবুল হোসেন খান, সেলিনা পারভিন, মো. আশরাফ উদ্দিন খাঁন, হাজী মো. সোহরাব ইদ্দিন খান, আবুল কালাম আজাদ ফারুক, মো. মারুফ রেজা, নাজমুস সাকিব, জাফর আহমেদ প্রমুখ।

সভায় জানানো হয় স্বাধীনতার ৫৪ বছর পেরিয়ে গেলেও আজ পর্যন্ত রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে যুগপোযোগী কোনো বিজ্ঞাপন নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়নি। ফলে বিলবোর্ড বিজ্ঞাপন ব্যবসা প্রকৃত ব্যবসায়ীদের হাত থেকে ক্রমেই অপেশাদার ও বিত্তশালীদের হাতে চলে যাচ্ছে। যে কারণে সকল নগরীর পরিকল্পিত সৌন্দর্য ব্যাহত হওয়ার পাশাপাশি সরকার কোটি কোটি টাকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

বক্তরা স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে বিলবোর্ডের নতুন নতুন উদ্ভাবনী এবং টেকসই ও পরিবেশবান্ধব বিলবোর্ড তৈরিতে কারিগরি দক্ষতা অর্জনের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। পাশাপাশি স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়কে বিজ্ঞাপন নীতিমালা প্রণয়ন করে একটি বিশেষ গ্রুপের একচেটিয়া বিজ্ঞাপনী ব্যবসা বন্ধ করার বিষয়ে জোর তাগিদ দেয়া হয়। 

নেতৃত্ববৃন্দ বলেন, দ্রুত পরিবর্তনশীল এই বিলবোর্ড শিল্প পণ্যের প্রচারে শুধু ক্লায়েন্টের চাহিদাই মেটায় না, পাশাপাশি সামাজিক দায়বদ্ধতা এবং সরকারের রাজস্ব উন্নয়নে সহায়তা করে। এই ব্যবসায় আমাদের সবচেয়ে বড় অংশীজন হচ্ছে স্থানীয় প্রশাসন। তাই স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের উচিত দ্রুত বিজ্ঞাপন নীতিমালা প্রণয়ন করে স্মার্ট বাংলাদেশ বির্নিমাণে বিলবোর্ড শিল্পের উন্নয়ন ও প্রসারে সহায়তা করা।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here