সারাবিশ্বের প্রবল আপত্তি উপেক্ষা করে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার সর্বদক্ষিণের শহর রাফায় হামলা শুরু করেছে ইসরায়েল। মিশর সীমান্তবর্তী এই রাফায় গোটা গাজার ভূখণ্ডের ১০ লাখেরও বেশি ফিলিস্তিনি আশ্রয় নিয়েছে। রবিবার থেকে সেখানে হামলার ব্যাপ্তি বাড়িয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী।
এর আগে উত্তর গাজাসহ গোটা উপত্যকাই ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। তারপরও আবারও উত্তর গাজার জাবালিয়া থেকে সেখানকার বাসিন্দাদের সরে যেতে বলেছে ইসরায়েল।
গত সোমবার থেকে গাজার মিসর সীমান্তবর্তী নগরী রাফায় আকাশ হামলা শুরু করে ইসরায়েল। সাত মাসের বেশি সময় ধরে চলা গাজা যুদ্ধে ছোট্ট এই ভূখণ্ডটির নানা প্রান্ত থেকে প্রাণ বাঁচাতে ১০ লাখের বেশি ফিলিস্তিনি রাফায় আশ্রয় নিয়েছে। ইসরায়েলের নির্দেশে গত সোমবার থেকে তাদের এখন রাফাও ছাড়তে হচ্ছে।
এর মধ্যে ইসরায়েলি বাহিনী গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় নগরী রাফার আরও কিছু এলাকা থেকে ফিলিস্তিনিদের সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। শনিবার ওই নির্দেশ দিয়ে তারা ফিলিস্তিনিদের আল-মাওয়াসির বর্ধিত মানবিক এলাকায় চলে যেতে বলেছে। ইসরায়েলি বাহিনী নতুন করে রাফার যেসব এলাকা থেকে ফিলিস্তিনিদের সরে যেতে বলেছে, তার মধ্যে নগরীর কেন্দ্রস্থলও রয়েছে।
ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর একজন মুখপাত্র সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে এক পোস্টে গাজার উত্তরাঞ্চলের জাবালিয়া এবং আশপাশের আরও ১১টি এলাকার বাসিন্দা এবং আশ্রয় গ্রহণকারীদের দ্রুত গাজা সিটির পশ্চিম দিকে চলে যাওয়ার আহ্বানও জানিয়েছে।
গাজার মধ্যাঞ্চলের ছোট্ট শহর আল-জাওয়াইদা। যেখানে গত কয়েক দিনে গাজার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা ফিলিস্তিনিদের ঢল নেমেছে। সেখানকার বাসিন্দারা বলেছেন, ইসরায়েলি বাহিনী নতুন করে রাফার যেসব এলাকা থেকে ফিলিস্তিনিদের সরে যেতে বলেছে তার মধ্যে নগরীর কেন্দ্রস্থলও রয়েছে। সেখানে খুবই কঠিন পরিস্থিতি বিরাজ করছে, আতঙ্কিত লোকজন নিজেদের বাড়িঘর ছাড়ছে। সূত্র: রয়টার্স