আজ রবিবার প্রকাশ হয়েছে ২০২৪ সালের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল। এ ফলাফল প্রকাশ কার্যক্রম উদ্বোধনের সময় মাধ্যমিকে শিক্ষার্থী সংখ্যা ও পাসের হারে ছাত্রীদের চেয়ে ছাত্ররা পিছিয়ে কেন, এর কারণ খুঁজতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এদিন সকাল ১০টার পর প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যানরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে ফলের সারসংক্ষেপ হস্তান্তর করেন। পরে সম্মিলিত ফলের সারসংক্ষেপ তুলে ধরেন শিক্ষামন্ত্রী ব্যারিস্টার মুহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।
তিনি বলেন, শিক্ষাই জাতির মেরুদণ্ড, এটা আমরা জানি। শিক্ষিত জনগোষ্ঠী ছাড়া কখনও উন্নতি করা যায় না। সেজন্য আমাদের সরকার সবসময় শিক্ষাকে গুরুত্ব দিয়ে থাকে। শিক্ষাতে আমরা যে ব্যয় করি, এটাকে আমরা ব্যয় বলি না। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব বলে গেছেন এটা বিনিয়োগ। শিক্ষাতে আমরা বিনিয়োগ করি।
সরকার প্রধান বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতা আসার পর থেকেই প্রচেষ্টা ছিল মানুষকে লেখাপড়ার প্রতি উৎসাহিত করা। যাতে তারা লেখাপড়ার দিকে মনোযোগ দেয়। এখানে আমরা দেখতে পাচ্ছি দিনে দিনে সাক্ষরতা হার বেড়েছে। শিক্ষা অংশগ্রহণকারী ছাত্র-ছাত্রী সংখ্যা ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। তারপর কেউ যদি ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকে তাদেরকে স্কুলে পাঠানো আমাদের দায়িত্ব। শুধুমাত্র বিএ-এমএ পাস করবে তা নয়, সঙ্গে কারিগরি শিক্ষা, বিজ্ঞান প্রযুক্তি, তথ্যপ্রযুক্তি, শিক্ষিত হওয়ার জন্য যা যা দরকার বা বিশ্ব পরিমণ্ডলে প্রতিযোগিতা করে টিকে থাকার শিক্ষা ব্যবস্থায় আমরা প্রবর্তন করতে চাই।
তিনি বলেন, জাতির পিতা শিক্ষা নীতিমালা প্রমাণ করেছিলেন। হস্তান্তর করেছিলেন। কিন্তু সেটা সম্পন্ন করে যেতে পারেননি। তারপর জাতির পিতাকে হত্যা করা হল। সেই নীতিমালা আর কখনও আলোর মুখ দেখেনি। আওয়ামী লীগ সরকার ৯৬ সালে সরকার গঠন করার পর সেই নীতিমালার আলোকে প্রণয়ন করার জন্য একটা কমিশন গঠন করেছিলাম। ২০০১ আমরা সরকারে আসতে পারলাম না, আবারও সেই শিক্ষা নীতিমালা ডিপ ফ্রিজে চলে গেল। এরপর আর কোনও উদ্যোগ ছিল না। দ্বিতীয়বার যখন সরকারে এলাম তখন নীতিমালা প্রণয়ন করে বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি। সময় উপযোগী করে যখনই সেটার সংশোধনের প্রয়োজন হবে, পরিবর্তন করার সুযোগ রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আজ আমরা দেখতে পাচ্ছি, মাত্র ৬০ দিনের মধ্যে ফলাফল ঘোষণা করা হচ্ছে। কিন্তু এমনও সময় গেছে মাসের পর মাস ফলাফল পড়ে থেকেছে। শিক্ষার্থীরা সেটা পায়নি। কিন্তু এখন একটা নিয়মের মধ্যে আনা হয়েছে।