ঘরের সৌন্দর্যে ভিন্নমাত্রা আনতে পারে পর্দা

0

ঘরের সৌন্দর্যে ভিন্নমাত্রা আনতে পারে পর্দা।  ঘরের পর্দা নির্বাচনের সময় পর্দার রং, কাপড়ের ধরন কেমন হবে তা নির্ভর করবে পর্দা কোন ঘরে লাগানো হবে তার ওপর।

ঘরের সঙ্গে মানানসই ও সুন্দর পর্দা ঘরের সৌন্দর্য বাড়িয়ে দেয় কয়েকগুণ। সৌন্দর্য বর্ধন ছাড়াও সূর্যের আলো ও ঘরের আব্র“ এবং বাইরের ধুলাবালু ও ময়লা থেকে রক্ষায় প্রয়োজন পর্দা। তাই অতি প্রয়োজনীয় এই পর্দা বেমানান হলে ঘরের সৌন্দর্য বাড়ানোর বদলে দৃষ্টিকটু করে তোলে। 

এ ক্ষেত্রে হলুদ, লাল, কমলা, লালচে কমলা, গাঢ় নীল, সবুজ ইত্যাদি রং বেছে নেওয়া যেতে পারে। ঋতুভেদেও পরিবর্তন আসতে পারে পর্দা ব্যবহারের ক্ষেত্রে। যেমন শীতকালে ব্যবহারের জন্য কৃত্রিম বয়ন তন্তু বা সিনথেটিক কাপড়ে তৈরি পর্দা সব থেকে বেশি উপযোগী। অন্যদিকে গ্রীষ্মের সময় ঘরের জন্য সুতির তৈরি পর্দা ভালো। ঘরের ব্যবহারভেদেও পর্দা নির্বাচনে আসতে পারে পরিবর্তন।

শোবার ঘরের জন্য সব সময় হালকা ও স্নিগ্ধ কোনো রঙের পর্দাই বেশি ব্যবহার হয়। অনেকেই হালকা নীল, হালকা সবুজ, হালকা গোলাপি রং বেছে নেন। আবার দুই ধরনের পর্দার সামঞ্জস্যতা বজায় রাখতে চাইলে দুই স্তরের পর্দা নির্বাচন করতে পারেন। যেমন প্রথমে কিছুটা মোটা কাপড়ের পর্দা দিয়ে তার ওপর নেটের বা পাতলা কাপড়ের পর্দা লাগানো যেতে পারে।

সাধারণত ঘরের দেয়াল, ছাদ ও মেঝের রং, আসবাবপত্রের ডিজাইন এবং রঙের সঙ্গে মানিয়ে পর্দার রং বাছাই করা উচিত। মনে রাখবেন গাঢ় রঙের পর্দায় ঘর ছোট দেখায়। তাই ছোট ঘরের জন্য হালকা রঙের পর্দা ব্যবহার করা ভালো। হালকা রঙের পর্দা ব্যবহার করলে ঘর বড় দেখাবে।

পর্দায় বাইরের ধুলাবালু বেশি আটকায়। তাই নিয়ম করে প্রতিদিন একবার করে ঝাড়ু দিয়ে ঝেড়ে নিন। এতে পর্দা পরিষ্কার থাকবে। কয়েক মাস পরপর পর্দা ধুয়ে নিলে পর্দার রং ঠিক থাকবে। তা ছাড়া পর্দ ধোয়ার সময় পানিতে জীবাণুনাশক ব্যবহার করে স্ট্যান্ড ও জানালা পরিষ্কার করতে ভুলবেন না।

সাধারণত দেড়শ টাকা থেকে প্রতি পিস পর্দার দাম শুরু হয়। কাপড় এবং ডিজাইনভেদে দাম এক হাজার টাকা বা বেশিও হতে পারে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here