আস্থার প্রতিদান দিতে চান আমির

0

দীর্ঘদিন পর পাকিস্তানের হয়ে খেলতে পেরে যেন আনন্দের সীমা নেই মোহাম্মদ আমিরের। বাঁহাতি এই পেসারের এখন একটাই লক্ষ্য, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শিরোপা পুনরুদ্ধারে অবদান রেখে দলের আস্থার প্রতিদান দেওয়া। সেজন্য নিজেকে পুরোপুরি প্রস্তুতও মনে করছেন তিনি। 

আমিরের ক্যারিয়ারে ঘটে গেছে অনেক কিছু। সম্ভাবনার ডালি সাজিয়ে পাকিস্তান দলে আসেন তিনি। ২০০৯ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দিয়ে পা রাখেন আন্তর্জাতিক আঙিনায়। নিজের প্রথম বৈশ্বিক আসরেই পান শিরোপা স্বাদ।

আরেকটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলার আশার চার বছর পর অবসর ভেঙে ফেরেন আমির। তাকে ফিরিয়ে দেয়নি পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডও। গত এপ্রিলে নিউ জিল্যান্ড সিরিজের দলে ডাক পেয়ে তিনি খেলেন চারটি ম্যাচ, নেন তিন উইকেট।

আসছে আয়ারল্যান্ড ও ইংল্যান্ডের সঙ্গে টি-টোয়েন্টি সিরিজের দলেও আছেন আমির। বিশ্বকাপ দলে তার জায়গা পাওয়ার সম্ভাবনাও বেশ উজ্জ্বল। ৩২ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার বার্তা সংস্থা এএফপি-কে বলেছেন, বৈশ্বিক আসরে খেলে দলকে শিরোপা জিতিয়ে নিজের অসমাপ্ত কাজ শেষ করার লক্ষ্যের কথা।

আমির জানান, “পাকিস্তানের হয়ে আবার খেলতে পারা দারুণ এক অনুভূতি। অসমাপ্ত কাজ শেষ করতে চাই। আমার স্বল্পমেয়াদী লক্ষ্য হলো বিশ্বকাপ জেতা। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড ও টিম ম্যানেজমেন্ট আমার ওপর বিশ্বাস রেখেছে, আমাকে সেই আস্থার প্রতিদান দিতে হবে।”

তিনি বলেন, “আমি চার বছর পর ফিরেছি। আর যখন দেশের হয়ে খেলবেন, সেই অনুভূতি বর্ণনা করা যায় না। সত্যি বলতে, ২০১৯ সালের চেয়ে বেশি ফিট অনুভব করেছি। শারীরিকভাবে ফিট না হলে নিজেকে মেলে ধরা যায় না। সুতরাং, আমি আরও ভালো করতে প্রস্তুত।”

পাকিস্তানের একমাত্র টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে জয়েও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল আমিরের। ২০০৯ সালের ওই আসরে ৭ ম্যাচ খেলে ৬ উইকেট নিয়েছিলেন তিনি। ফাইনালে শ্রীলঙ্কাকে ৮ উইকেটে হারানোর পথে ৪ ওভারে ৩০ রান দিয়ে ধরেছিলেন তিলাকারাত্নে দিলশানের উইকেট। একটি মেডেন ওভারও সেদিন করেছিলেন আমির। বিশ্বকাপ জিতে দেশে ফেরার পর যে অভিজ্ঞতার সাক্ষী হয়েছিলেন তিনি, সেটার কিছুটা তুলে ধরেন এই পেসার।

আমির বলেন, “২০০৯ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ের স্মৃতি আমার জীবনের বিশেষ কিছু এবং আজও আমাকে রোমাঞ্চিত করে। প্রথমবারের মতো দলে জায়গা পেয়েই চ্যাম্পিয়ন দলের অংশ হয়েছিলাম। (বিশ্বকাপ থেকে ফিরে) গ্রামে যাওয়ার উদ্দেশে যখন রাওয়ালপিন্ডি বিমানবন্দরে অবতরণ করি, তখন সেখানে অনেক গাড়ি ছিল এবং তারা আমার ওপর ফুল বর্ষণ করছিল।”

তিনি জানান, “আমি ভাগ্যবান যে, এখনও খেলছি। যখন আমি এসেছিলাম, দলের সর্বকনিষ্ঠ ছিলাম। এখন আমার সামনে বিশ্বকাপ জয়ের আরেকটি সুযোগ এবং এটাই আমার ও আমার দলের লক্ষ্য।” প্রসঙ্গত, বিশ্বকাপে পাকিস্তানের প্রথম ম্যাচ যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে, আগামী ৬ জুন।

 

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here