মালচিং পেপার ব্যবহারে তরমুজ চাষে লাভবান কৃষক

0

বগুড়া জেলার কাহালু উপজেলার মালঞ্চা ইউনিয়নে গুড়বিশা গ্রামের সাইফুল ইসলামের ছেলে মেহেদী হাসান অসময়ে তরমুজ চাষ করে ব্যাপক লাভবান হওয়ার সম্ভাবনা দেখছেন। সবজির আইলের পাশে কিংবা পতিত জমিতে মারচিং পদ্ধিতিতে সে তরমুজ চাষ করছেন। এটি গ্রীষ্মকালীন ফল হলেও এবার কাহালুতে অসময়ে চাষ করে আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন তিনি। অসময়ে চাষকৃত রঙ-বেঙয়ের তরমুজ ঝুলছে মাঁচাতে।

জানা যায়, আধুনিক প্রযুক্তি সম্প্রসারণের মাধ্যমে রাজশাহী বিভাগের কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় মেহেদী হাসান ২৫ শতক জায়গায় প্রদর্শনী সহ পরীক্ষামূলক ভাবে প্রায় ৪ বিঘা জমিতে সুস্বাদু তরমুজের আবাদ করেছেন। অসময়ে তরমুজ চাষ করে তার ভাগ্যের চাকা ঘুরিয়েছেন। সারা বছরই এখন চাষ হবে উচ্চমূল্যের অফসিজন তরমুজ। এসব তরমুজ দেখতে গাঢ় সবুজ। খেতেও ভালো ও বেশি দামে বিক্রিও করতে পারবেন তিনি। এক সময় বছরে তিন মাস বাজারে তরমুজ পাওয়া গেলেও এখন মিলব সারা বছরই।

কাহালু উপজেলা কৃষি কর্মকতা কৃষিবিদ মোসা. জান্নাতুল ফেরদৌস জানান মালচিং পেপার ব্যবহার করে অসময়ে তরমুজ চাষে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ থেকে মেহেদী হাসানকে প্রদর্শনীর জন্য বিনামূল্যে সার, বীজ প্রদান এবং পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে। উন্নত জাতের বীজ দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে সংগ্রহ করে কৃষকদের অসময়ে তরমুজ চাষে উদ্ধুদ্ধ করা এবং কৃষকরা চাষ করে সফল হয়েছেন। তরমুজ একটি অর্থকরী ফসল। তরমুজে ভিটামিন ও খনিজ উপাদান সমৃদ্ধ। অর্থনৈতিক ভাবে বেকার যুবক ও কৃষককে স্বাবলম্বী করে তুলতে তরমুজ চাষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে ফলন বেশি হবে। তিনি আরও বলেন, মারচিং পেপার ব্যবহার করে তরমুজ বেগুন, টমোটো ও শসা চাষ করা হচ্ছে। 

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here