প্রতিবেশী ও মিত্রদেশ বেলারুশে কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্র মোতায়েন করবে রাশিয়া। গত ২৬ মার্চ রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এ ঘোষণা দেন।
বেলারুশের সঙ্গে ইউক্রেনেরও বড় সীমান্ত রয়েছে। স্বাভাবিকভাবে কিয়েভের পশ্চিমা মিত্ররা বিষয়টি নিয়ে রাশিয়ার সমালোচনা করছে। বিপরীত দিকে বেলারুশে পারমাণবিক অস্ত্র মোতায়েনের পক্ষে যুক্তি দিচ্ছে রাশিয়া।
এই ইস্যু নিয়ে বুধবার পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোর মহাসচিব জেনস স্টলটেনবার্গ বলেন, বেলারুশে রাশিয়ার পরমাণু অস্ত্র স্থাপনের ঘোষণা চীন-রাশিয়ার সাম্প্রতিক বিবৃতির সঙ্গে সাংঘর্ষিক। বেইজিং-মস্কোর ওই বিবৃতিতে বলা হয়, ‘নিজ সীমানার বাইরে কোনো দেশের পারমাণবিক অস্ত্র মোতায়েন করা উচিত নয়।’
স্টলটেনবার্গের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বৃহস্পতিবার বলেন, ‘ন্যাটো রাশিয়ার দিকে অগ্রসর হচ্ছে। রাশিয়া ন্যাটো দেশভুক্ত দেশের দিকে কোনো সামরিক স্থাপনা নিচ্ছে না।’
উল্লেখ্য, ইউক্রেনে রাশিয়ার যুদ্ধের আজ ৪০৭ তম দিন চলছে। এখন পর্যন্ত যুদ্ধবিরতি কিংবা যুদ্ধ বন্ধের সুস্পষ্ট কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না।