অ্যাফিলিয়েট সদস্যদের জন্য কাজ করতে চাই: লুৎফি হায়দার চৌধুরী

0

বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস)-এর নির্বাচনে পরিচালক পদে নির্বাচন করছেন অ্যাডফিনিক্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক লুৎফি হায়দার চৌধুরী। ‘টিম স্মার্ট’ থেকে অ্যাফিলিয়েট ক্যাটাগরিতে পরিচালক পদে নির্বাচন করছেন লুৎফি।

নির্বাচিত হলে বেসিসের অ্যাফিলিয়েট সদস্যদের প্রতি সব সময় বিশেষ মনোযোগী থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি। বেসিসের স্ট্যান্ডিং কমিটিকেও আরও শক্তিশালী করার লক্ষ্যও তার। স্থানীয় বাজার সুরক্ষা ও সম্প্রসারণ এবং গ্লোবাল এডটেক প্ল্যাটফর্ম পেমেন্ট প্রক্রিয়া সহজতর করার বিষয়টিকেও প্রাধান্য দিচ্ছেন লুৎফি হায়দার চৌধুরী।

টেকওয়ার্ল্ড বাংলাদেশের সাথে বেসিস নির্বাচন বিষয়ে আলোচনায় তার নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি নিয়ে কথা বলেন লুৎফি হায়দার চৌধুরী।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে ইনফরমেশন টেকনোলজি  পরিষেবার (আইটিএস) বাজার ক্রমবর্ধমান। বাংলাদেশ সরকার ২০১২ সালে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তোলার ঘোষণা দেবার পর সারা দেশে ব্যক্তি পর্যায় হতে শুরু করে সরকারি-বেসরকারি প্রতিটি ক্ষেত্রেই বেড়েছে তথ্যপ্রযুক্তি পরিষেবা বা ইনফরমেশন টেকনোলজি পরিষেবার (আইটিএস) ব্যবহার এবং চাহিদা।  

২০২২ সালে বিশ্বব্যাপী আইটি পরিষেবা বাজারের আকার ছিল ১.২২ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি যা ২০২৩ সালে এসে দাঁড়িয়েছে ১.৩৬ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারে। বাংলাদেশে বর্তমানে সফটওয়্যার ও তথ্যপ্রযুক্তি পরিষেবা খাতের বার্ষিক অভ্যন্তরীণ বাজারের আকার প্রায় দেড়শ’ কোটি মার্কিন ডলারের সমপরিমাণ। পাশাপাশি রপ্তানি প্রায় ১৯০ কোটি ডলারে পৌঁছেছে। সুতরাং দেশে এবং বিশ্ববাজারে তথ্যপ্রযুক্তি পরিষেবার চাহিদা বাড়ছে। 

তিনি আরও বলেন, ব্যবসার প্রসার এবং প্রচারে সারাবিশ্বে জনপ্রিয়তা পাচ্ছে  ডিজিটাল মার্কেটিং যেখানে অ্যাডটেক (অ্যাডভারটাইজিং টেকনোলজি) একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। যারা ডিজিটাল মার্কেটিং করে তারা সাধারণত অ্যাডটেকের মাধ্যমেই ডিজিটাল বিজ্ঞাপন ক্রয়বিক্রয় এবং এর ব্যবস্থাপনা করে। এর দ্বারা বাজেটের সর্বোত্তম ব্যবহার করে অধিক মুনাফা অর্জন সম্ভব। সারাবিশ্বে অ্যাডটেকের বাজার এখন ৯৮৭.৫২ মার্কিন ডলারেরও বেশি এবং এর প্রবৃদ্ধির হার ২০৩০ সালের মধ্যে ১৬.১% হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। 

অ্যাফিলিয়েট মেম্বারদের বড় একটি অংশ কন্টেন্ট ক্রিয়েট করে। যারা কন্টেন্ট ক্রিয়েট করছেন তারাকিন্তু দেশে বসেই রেমিট্যান্স যোদ্ধা। তারা বিদেশ থেকে টাকা আনছে। তাদের প্রণোদনা যাতে আরও দ্রুত ত্বরাণ্বিত করা যায়, সে উদ্যোগ নেবো। এরইমধ্যে ১০ থেকে কমিয়ে প্রণোদনা ৮ শতাংশ করা হয়েছে, প্রণোদনা পেতে অনেক ভোগান্তি পোহাতে হয়, আমরা বেসিস থেকে নজর রাখবো যাতে এই সমস্যা সমাধান করা যায়। গুগল ফেসবুকের পেমেন্ট নিয়ে এখনও যে ধোঁয়াশা রয়েছে, তাতে আমরা বিশেষ মনোযোগ দেবো।  গ্লোবাল অ্যাডটেক প্ল্যাটফর্ম পেমেন্ট প্রক্রিয়া সহজতর করার বিষয়টিতে আগ্রহ নিয়ে কাজ করতে চাই বেসিস সদস্যদের জন্য।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here