জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচার আদালত আইসিজে মঙ্গলবার প্রাথমিক এক রায়ে ইসরায়েলকে দেওয়া জার্মানির সামরিক সহায়তার পথে বাধা না দেওয়ার সিদ্ধান্ত জানিয়েছে।
নিকারাগুয়া অভিযোগ করেছিল, জার্মানির ইসরায়েলকে অস্ত্র দেওয়া ‘গণহত্যা’কে সমর্থন করা। নিকারাগুয়া বলছে, ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে আন্তর্জাতিক মানবিক আইন লঙ্ঘন চলতে দিয়ে ১৯৪৮ সালের গণহত্যা কনভেনশন লঙ্ঘন করছে জার্মানি।
অভিবাসনের কারণে ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে নিকারাগুয়ার ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে।
জার্মানির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আইসিজের প্রাথমিক রায়কে স্বাগত জানিয়ে বলেছে, ‘কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়। এক বিবৃতিতে মন্ত্রণালয় বলছে, ‘জার্মানি মধ্যপ্রাচ্য সংঘাতের কোনো পক্ষ নয়-একেবারে বিপরীত। আমরা দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের জন্য দিনরাত কাজ করছি। আমরা ফিলিস্তিনিদের মানবিক সহায়তা দেওয়া সবচেয়ে বড় দাতা।’
সুইডেনের স্টকহোমের আন্তর্জাতিক শান্তি বিষয়ক গবেষণা প্রতিষ্ঠান সিপ্রির হিসাব বলছে, ২০১৯ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে ইসরায়েলকে সবচেয়ে বেশি অস্ত্র সরবরাহ করা দেশের তালিকায় যুক্তরাষ্ট্রের পরেই আছে জার্মানি।
তবে ৭ অক্টোবর হামাস ইসরায়েলে সন্ত্রাসী হামলা চালানোর পর জার্মানির ইসরায়েলে রপ্তানি করা অস্ত্রের ৯৮ শতাংশই ভেস্ট, হেলমেট ও দূরবীনের মতো সাধারণ উপকরণ বলে আইসিজের শুনানিতে জানান জার্মানির প্রতিনিধি ক্রিস্টিয়ান টামস।
এছাড়া গত নভেম্বর থেকে ইসরায়েলে জার্মানির অস্ত্র বিক্রি উল্লেখযোগ্য পরিমাণে কমেছে বলেও আইসিজেকে জানিয়েছে জার্মানি।
হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাবে, ইসরায়েলি হামলায় এখন পর্যন্ত সাড়ে ৩৪ হাজারের বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। এদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। এছাড়া গাজার প্রায় ৮০ শতাংশ বাসিন্দাকে ঘর ছেড়ে পালাতে হয়েছে। হাজার হাজার মানুষ দুর্ভিক্ষের আশঙ্কায় আছেন।
সূত্র : ডয়চে ভেলে।