আরও দুই সেঞ্চুরির আক্ষেপ সিডন্সের!

0

টেস্টের প্রথম দিন আয়ারল্যান্ড অলআউট হয় ২১৪ রানে। বাংলাদেশ দিন শেষ করেছিল ২ উইকেট ৩৪ রান তুলে। গতকাল পাল্টা আক্রমণে সাকিব আল হাসান খেলার মোড় পাল্টে দিয়েছিলেন। ব্যাটিংয়ে এসেই লিটন দাস ওভারে তিন বাউন্ডারি মেরে দিয়েছিলেন বড় কিছুর বার্তা। 

সাকিব শতরানের পথে থেকেও থেমে যান ১৩ রান দূরে (৮৭), আর লিটনের ইনিংসের ইতি ঘটে ফিফটির (৪১) আগেই। শুরু থেকে একই গতিতে খেলে তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগার স্পর্শ করেছেন শুধু মুশফিকুর রহিম।

ব্যক্তিগত স্কোরে ব্যাটিং গুরুকে সন্তুষ্টি না দিলেও দিন শেষে স্কোরবোর্ড দিচ্ছে পরিতৃপ্তি। আইরিশদের ২১৪ রানের জবাবে বাংলাদেশ থামে ৩৬৯ রানে। ১৫৫ রানের লিড মাথায় নিয়ে খেলতে নেমে ২৭ রানে হারায় ৪ উইকেট। সাকিব-তাইজুলের স্পিনের সামনে তৃতীয় দিন কত সময় উইকেটে থাকতে পারবে সেটাই দেখার।

মুশফিক থামেন ক্যারিয়ারের দশম সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে। ১৩৫ বলে করেছেন সেঞ্চুরি। যা তার টেস্ট ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় দ্রুততম শতক। তার ব্যাট থেকে আসে সর্বোচ্চ ১৩৫ রান। মুশফিকের সেঞ্চুরি নিয়ে সিডন্সের ভাষ্য, ‘এটা খুবই অসাধারণ ছিল, আমরা কিছুটা সমস্যায় ছিলাম। সাধারণত আমরা সমস্যা পড়লে মুশি এগিয়ে আসে, সে সেখানে অবিচল থেকে বড় ইনিংস খেলে। আবার প্রয়োজনেও আগ্রাসীও হয়। বাজে বল পেলে হিট করে কিন্তু ডিফেন্সও করে শৃঙ্খলার সাথে। তাকে নিয়ে আমি খুবই খুশি। টেস্ট ক্রিকেটে আমাদের এমন করতে হবে।’

ম্যাকব্রিনের ঘূর্ণিতে সাকিব-লিটনরা ফেরার পর বড় লিডের পথে থেকেও বাংলাদেশ কিছুটা দিশাহীন হয়ে যায়। এক প্রান্তে মেহেদি হাসান মিরাজ দারুণ ব্যাটিং করে লিড পার করে দেড়শ। মিরাজকে নিয়ে উচ্ছ্বসিত সিডন্স, ‘আমার মনে হয় মিরাজ এখন ব্যাটসম্যান। আদর্শ অলরাউন্ডার যে ব্যাটিং করতে পারে। সে ওয়ানডে ও টেস্টে সেটা প্রমাণ করেছে। তার ফিফটিটা আজ খুব ভালো সময়ে এসেছে। সে আগ্রাসী ছিল কিন্তু এখনও তাকে বোলারদের নিয়ে ব্যাটিংয়ের জন্য কাজ করতে হবে। ওয়ানডেতে সে আমাদের মূল ব্যাটসম্যানদের একজন। অলরাউন্ডার হিসেবে সাত নম্বরে তাকে ভালো মানাচ্ছে।’

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here