রংপুরে ১২০টি পরিবার ঈদুল ফিতর উদযাপন করেছে। বুধবার গঙ্গাচড়া উপজেলার বড়বিল ইউনিয়নের বাগপুর পূর্ব মৌলভীপাড়া জামে মসজিদে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে ইমামতি করেন মাওলানা আব্দুল বাতেন।
স্থানীয়রা জানান, ১৯৮৬ সালে বাগপুর পূর্ব মৌলভীপাড়া গ্রামের মাওলানা আব্দুর রশীদ বাদশা ঈমাম হয়ে ২০ থেকে ৪০ জন মুসল্লিকে সাথে নিয়ে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে রোজা এবং ঈদ উদযাপন শুরু করেন। তখন থেকেই তার মৃত্যুর পূর্ব সময় পর্যন্ত তিনি এ নিয়ম চলে আসছে। ২০২২ সালে মাওলানা আব্দুর রশীদ বাদশার মৃত্যুর পর তার বড় ছেলে মাওলানা আব্দুল বাতেন বাবার শুরু করা এই প্রথা ধরে রেখেছেন। বর্তমানে মাওলানা আব্দুল বাতেন ইমাম হয়ে ১২০টি পরিবারকে সাথে নিয়ে সৌদি আরবের সাঙ্গে মিল রেখে ঈদের নামাজ আদায় করে আসছেন। তাদের এই জামাতের সাথে নামাজ আদায় করতে আশপাশের গ্রাম ও শহর থেকে আসা প্রায় ১৫ থেকে ২০ জনসহ মোট ১৪০ জন মুসল্লি অংশ নেন।
রংপুর নগরীর শালবন বৈশাখীর মোড় এলাকা থেকে আসা শাহাজান মিয়া (৪৫) বলেন, আমার বাবা মাওলানা আব্দুর রশীদ বাদশা হুজুরের সাথে ঈদের জামাত আদায় করতেন। ছোট থেকে আমিও এখানে বছরে দুই বার ঈদের নামাজ আদায় করতে আসি। আমার জানা মতে শুধু গঙ্গাচড়ার এই গ্রামে সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে রোজা ও ঈদ পালন করা হয়।
গঙ্গাচড়া মডেল থানার ওসি মাসুমুর রহমানের বলেন, বড়বিল ইউনিয়নের একটি গ্রামের প্রায় ১২০টি পরিবার সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে ঈদের নামাজ আদায় করেছেন। তারা যেন সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে নামাজ আদায় করতে পারেন। সেলক্ষ্যে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সার্বিক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছিলাম।