বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস আজ। অটিজম একটি নিউরো ডেভেলপমেন্টাল ডিস্অর্ডার। অটিজম শিশুর অন্য ১০টি শিশুর মতো বেঁচে থাকা, বেড়ে উঠা, বড় হওয়ার অধিকার রয়েছে। এ বছরের বিশ্ব অটিজম সচেতনা দিবসের প্রতিপাদ্য হলো- ‘সচেতনা-স্বীকৃতি-মূল্যায়ন : শুধু বেঁচে থাকা থেকে সমৃদ্ধির পথে যাত্রা’ (Moving from surviving to thriving: Autistic individuals share regional perspective) যা অত্যন্ত সময় উপযোগী এবং সব দিক থেকেই গুরুত্বপূর্ণ।
প্রকৃতপক্ষে অটিজম বিষয়ে সচেতনতা তৈরি করাই দিবসটি প্রতিপালনের মূল লক্ষ্য। এ সচেতনতা তৈরি হতে হবে অভিভাবক পিতা/মাতা, পরিবার/পরিজন, আত্মীয়পরিজন, সমাজ এবং রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে। অটিজম বিষয়ে সচেতনতার প্রথম ধাপটি হলো দ্রুত ও প্রাথমিক পর্যায়ের তা নির্ণয় করা। প্রাথমিক পর্যায়ে শনাক্ত ও নির্ণয় করতে পারলেই দ্রুত চিকিৎসা/ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা যেতে পারে। যত শিগগিরই প্রশিক্ষণ/চিকিৎসা করা যাবে তত তাড়াতাড়ি অটিজম শিশুর উন্নতি লাভ সম্ভব। সচেতনতার অন্য গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো কুসংস্কারের শিকার না হয়ে, অবহেলা না করে স্বাস্থ্য সেবার দোরগোড়ায় পৌঁছানো।
অটিজম শিশুটির মূল্যায়ন করতে হবে অন্য ১০টি শিশুর মতো। তারও অন্য ১০টি শিশুর মতো মানবিক অধিকার রয়েছে, শিক্ষা-স্বাস্থ্য, পুনর্বাসনের অধিকার রয়েছে। মনে রাখতে হবে শুধু বেঁচে থাকা নয়, অটিজম শিশুদের সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিতে হবে। আশার কথা হলো অটিজম শিশুর সঠিক প্রশিক্ষণ/চিকিৎসা/শিক্ষার ব্যবস্থা করলে তারাও সমাজের মূল স্রোতধারায় ফিরে আসতে পারে। অটিজম শিশু স্বাবলম্বী হয়ে সমাজ উন্নয়নে অবদান রাখতে পারে।
সুখের কথা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ এশিয়ার পরিচালক প্রধানমন্ত্রী কন্যা সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের অক্লান্ত পরিশ্রম ও কর্মতৎপরতার ফলে বাংলাদেশে অটিজম সচেতনার পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে যা আগামী দিনে এদেশের অটিজম শিশুদের ভবিষ্যৎ বিনির্মাণে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।
লেখক: অধ্যাপক এবং সভাপতি, বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সাইকিয়াট্রিস্ট।