দিনাজপুর অঞ্চলে চাহিদার চেয়ে বেশি বাধাঁকপিসহ বিভিন্ন সবজি আবাদ হয়। এলাকার চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা হয়। তবে মৌসুমের শেষে এসে বাধাঁকপি প্রতি পিস বিক্রি হচ্ছে ৫ টাকা। যদিও মৌসুমের প্রথমদিকে বাধাঁকপি ৩৫-৪০ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়। বর্তমানে এতে অনেক কৃষকের লোকসান হলেও দাম কম হওয়ায় ক্রেতাদের মধ্যে স্বস্তি ফিরেছে। এ অবস্থা জেলার বিভিন্ন বাজারে।
রবিবার দিনাজপুরের বিরামপুরের দেশমা হাট এলাকায় রাস্তার পাশে স্তুপ করে ৫ টাকা পিস বাঁধাকপি বিক্রি করতে দেখা গেছে। বিরামপুর পৌরশহরের হাবিবপুর এলাকার আনোয়ার হোসেন এই বাধাঁকপি বিক্রি করছেন।
আব্দুর রহিম নামে এক ক্রেতা বলেন, ৫ টাকা দরে ২০ টাকায় চারটি বাঁধাকপি কিনলাম। বর্তমান বাজারের চেয়ে কম দামে পণ্য পাওয়া কঠিন। সব সবজির দাম যদি এমন হতো তাহলে ভালোই হতো।
আসলাম নামে আরেক কৃষক বলেন, বাজারে সবজির যে দাম, তাতে আমাদের চলা দায় হয়ে পড়েছে। ৫০০ টাকা নিয়ে আসলে ব্যাগ ভরেই না।
বিরামপুর উপজেলা কৃষি অফিসার জাহিদুল ইসলাম বলেন, আমাদের এ এলাকায় চাহিদার চেয়ে বেশি সবজি আবাদ হয়। এলাকার চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠানো হয়। এবার বিরামপুর উপজেলায় ১২৮০ হেক্টর জমিতে সবজি চাষ করা হয়েছে। এরমধ্যে ৩ দশমিক ২৮ হেক্টর জমিতে ফুলকপি এবং ৪ দশমিক ১৮ হেক্টর জমিতে বাঁধাকপি চাষ করা হয়েছে।