আপাতত কারাগারেই রাত কাটাতে হবে আবগারি দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্ত ভারতের দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল’কে। সেক্ষেত্রে আগামী দুই সপ্তাহ তাকে জেলের কুঠুরির মধ্যে থাকতে হবে। এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)-র হেফাজত শেষে সোমবার তাকে দিল্লির আদালতে তোলা হয়। কিন্তু পরবর্তী জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ইডি নিজেদের হেফাজতে রাখার আবেদন জানায়নি। ফলে আদালত আগামী ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত (১৪ দিনের) বিচার বিভাগীয় হেফাজতের নির্দেশ দেয়। আদালতের নির্দেশের পরই দিল্লির ক্ষমতাসীন দল আম আদমি পার্টি (আপ) প্রধান কেজরিওয়ালকে দিল্লির তিহার জেলে প্রেরণ করা হচ্ছে।
তবে কারাগারে পাঠানোর আগে কেজরিওয়ালকে তার স্ত্রী সুনীতা কেজরিওয়াল, আপ নেতা অতিশী এবং সৌরভ ভরদ্বাজ’এর সাথে সাক্ষাতের অনুমতি দিয়েছে।
ইডি আদালতকে জানিয়েছে প্রয়োজন হলে ভবিষ্যতে ইডি ফের তাদের নিজেদের হেফাজতে নিয়ে কেজরিওয়ালকে জিজ্ঞাসা করতে পারে।
এদিকে কেজিওয়ালের আইনজীবী আদালতে জানায় তার মক্কেলের শারীরিক অবস্থার কথা চিন্তা করে তাকে যেন ওষুধ ও স্পেশাল ডায়েট এর ব্যবস্থা করা হয়। আদালতের ভিতরে আপ প্রধান যাতে রামায়ণ, ভগবত গীতা এবং সাংবাদিক নীরজ চৌধুরীর লেখা ‘হাও প্রাইম মিনিস্টারস ডিসাইড’ – এই তিনটি বই পড়তে পারেন সেই ব্যবস্থাও করার জন্যও আদালতকে আর্জি জানায় কেজরিওয়ালের আইনজীবী।
উল্লেখ্য ২০২১ সালের ১৭ নভেম্বর দিল্লির আপ সরকার নতুন আবগারি নীতি বাস্তবায়ন করেছিল। কিন্তু দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে সেই নীতি বাতিল করা হয়। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ‘এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট’ (ইডি)-র অভিযোগ নতুন আবগারি নীতি বাস্তবায়নের ফলে অযোগ্য ব্যক্তিরা আর্থিক সুবিধা পেয়েছেন, লাইসেন্স দেওয়ার ক্ষেত্রেও অনিয়ম হয়েছিল। এরপরই অর্থ পাচার সম্পর্কিত আইনে (পিএমএলএ) ২১ মার্চ কেজরিওয়ালকে গ্রেফতার করে ইডি।