দুই মাস আগে দালালের মাধ্যমে লিবিয়ায় যাওয়া রুবেল হোসেন নামে এক যুবককে সেখানকার একটি শহরের অজ্ঞাত স্থানে আটকে রাখা হয়েছে। তার হাত-পা একসঙ্গে বেঁধে ও মুখে কাপড় গুঁজে দিয়ে লাঠি দিয়ে বেদম পেটাচ্ছিলেন এক ব্যক্তি। এমন নির্মম নির্যাতনের ভিডিও বাংলাদেশে রুবেলের স্ত্রীর বড় বোন আক্তারুনের মুঠোফোনে পাঠানো হয়েছে।
ওই ভিডিওতে পাঠিয়ে রুবেলের মুক্তিপণের জন্য আক্তারুনের কাছে দশ লাখ টাকা দাবি করা হয়েছে।
আক্তারুন বলেন, আমি আমার ছোট বোনের স্বামী রুবেল হোসনকে দালাল মিজানুর ও তার বাবা আব্দুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করে দিয়েছিলাম। গত জানুয়ারি মাসে দালাল মিজানুর আমার ছোট বোনের স্বামী রুবেলকে লিবিয়ায় নিয়ে গেছেন। আক্তারুন বলেন, দালাল মিজানুর রুবেলকে লিবিয়ায় নিয়ে বসিয়ে রেখেছিলেন। রুবেলকে ভালো কাজ দেওয়ার কথা দশ দিন আগে লিবিয়ার আরেকটি জায়গায় নিয়ে যায়। তারা সেখানে রুবেলকে আটকে রেখে মারধর করছেন। এঘটনার পর লিবিয়ায় থাকা দালাল মিজানুরের কাছে ফোন করে তাকে পাইনি। ঘটনার পর থেকে মিজানুরের সঙ্গে যোগাযোগ করা যাচ্ছে না।
তেমারিয়া গ্রামের বাসিন্দা ও গোপীনাথপুর ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত নারী সদস্য ফজিলাতুন নেছা বলেন, কয়েক দিন ধরে মিজানুরের খোঁজে লোকজন বাড়িতে আসছেন। এই ভয়ে মিজানুরের পরিবারের সদস্যরা কেউ বাড়িতে থাকছেন না।