দুর্নীতির পুরো চিত্র উন্মোচন করতে হবে

0

বেনজীর আহমেদ যেহেতু সরকারের গুরুত্বপূর্ণ একজন ব্যক্তি ছিলেন, সে কারণে তাঁর বিরুদ্ধে কোনো দুর্নীতির তথ্য উঠে এলে অবশ্যই সরকারকে গুরুত্বের সঙ্গে বিষয়টি খতিয়ে দেখতে হবে। দুদকসহ সংশ্লিষ্ট সব মন্ত্রণালয় ও সরকারি দপ্তরের এ বিষয়ে বিশদভাবে অনুসন্ধানে নামা উচিত। 

পুলিশের সাবেক মহাপরিচালকের অবৈধ সম্পদ অর্জনের বিষয়ে বক্তব্য জানতে যোগাযোগ করা হলে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান এ মন্তব্য করেন।

বেনজীর আহমেদ যদি সত্যিই এত সম্পদের মালিক হয়ে থাকেন, সেটি বিস্ময়কর। বেনজীর দুর্নীতি করে থাকলে সেটি চিহ্নিত করা উচিত জানিয়ে তিনি বলেন, তাঁর বৈধ আয়ের সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ সম্পদ অর্জনের উৎস ও সূত্রগুলো চিহ্নিত করতে হবে। তাঁর দুর্নীতির পুরো চিত্র উন্মোচন করা উচিত। কারণ আইন সবার জন্য সমান।

ইফতেখারুজ্জামান বলেন, বেনজীর আহমেদ খুবই ক্ষমতাবান ছিলেন। তিনি পুলিশ বাহিনীর সর্বোচ্চ পদে ছিলেন। এ ছাড়া তিনি রাজনৈতিকভাবেও পৃষ্ঠপোষক ছিলেন। সবাই জানে তিনি কতটা প্রভাবশালী।

এ জন্য দুদক হয়তো স্বাধীনভাবে তাঁর দুর্নীতি অনুসন্ধান করতে গেলে বাধাপ্রাপ্ত হতে পারে। তবে জনগণের প্রকৃত ঘটনা জানার আগ্রহ থেকে হলেও বেনজীরের দুর্নীতি খুঁজে বের করা উচিত। যেহেতু বেনজীর ওই সময় গুরুত্বপূর্ণ একজন ব্যক্তি ছিলেন, সেহেতু দুদকসহ সংশ্লিষ্ট সব মন্ত্রণালয় ও সরকারি দপ্তরকে তাঁর দুর্নীতির অনুসন্ধান করা উচিত।

ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, বর্তমান সরকারের ২০২৪ সালের নির্বাচনী ইশতেহারে অত্যন্ত জোর দিয়ে বলা হয়েছে, যারা অবৈধ সম্পদ আহরণ ও অর্জন করবে, সেগুলো বাজেয়াপ্ত করা হবে। সেই সঙ্গে দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত সম্পদের সঙ্গে জড়িত দোষীকে আইনের আওতায় আনা হবে।

বিচারের মুখোমুখি করা হবে। দুদক এর পরও যদি বেনজীরের সম্পদ অনুসন্ধান করে দুর্নীতির চিত্র না বের করতে পারে, তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিতে পারে, সেটি হবে দুঃখজনক। সেই সঙ্গে জোর দিয়ে বলা সরকারের নির্বাচনী ইশতেহার ফাঁকা বুলি হয়েই থাকবে। সূত্র: কালের কণ্ঠ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here