ক্যাম্বেলটাউন বাংলা স্কুল যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করেছে। রবিবার বাংলা স্কুলের শ্রেণিকক্ষে ছাত্রছাত্রীরা মুক্তিযুদ্ধের ছবি এঁকে, মুক্তি সংগ্রামের বীরত্ব গাঁথা জেনে, কবিতা পড়ে, গান গেয়ে, বীর মুক্তিযোদ্ধার স্মৃতিকথা শুনে স্বাধীনতার ৫৩তম বর্ষ স্মরণ করে। স্কুলের নিয়মিত বাংলা ক্লাসে চিত্রাঙ্কন শেষে সকাল ১১টায় আয়োজিত অনুষ্ঠানে স্কুলের ছাত্র, শিক্ষক, অভিভাবক ও কার্যকরী কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
সকাল ১১:৩০ মিনিটে বাংলা স্কুল সাধারণ সম্পাদক কাজী আশফাক রহমান সবাইকে মহান স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা করেন। প্রথমে বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় সংগীত পরিবেশিত হয়। কবি শামসুর রাহমানের ‘তোমাকে পাবার জন্য হে স্বাধীনতা’ কবিতা থেকে পাঠ করেন বাংলা স্কুলের কার্যকরী কমিটির সহ সভাপতি ফায়সাল খালিদ শুভ। এই পর্যায়ে একাত্তরের রণাঙ্গনের যুদ্ধজয়ী বীর শাহাদাত হোসেন মুক্তি সংগ্রামের স্মৃতিচারণ করেন। এই বীর মুক্তিযোদ্ধা বাংলা স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের মুক্তিযুদ্ধে তার সাহসিকতা ও বীরত্বের সত্যগল্প বলেন। যুদ্ধ দিনের কথা বলতে গিয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে এই স্বাধীনতা সংগ্রামী ছাত্রছাত্রী সহ সবাইকে বাংলাদেশকে হৃদয়ে ধারণ করার পরামর্শ দেন।
এই পর্বে সঞ্চালকের ভূমিকায় ছিলেন শ্রেণি শিক্ষক অনিতা মন্ডল। সমন্বয় করেন শ্রেণি শিক্ষক অনজুমান আরা আইরিন, শায়লা ইয়াসমীন নুসরাত, সায়মা হক, নুসরাত মৌরি ও অনিতা বিশ্বাস মীরা। দুপুর একটায় বাংলা স্কুল সভাপতি মসিউল আযম খান স্বপন সবাইকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়ে স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন। প্রধান সমন্বয়কারী নাজমুল আহসান খানের পরিচালনায় ও অধ্যক্ষ রুমানা খান মোনার সার্বিক তত্ত্বাবধানে এই অনুষ্ঠানে শব্দ নিয়ন্ত্রকের দায়িত্ব পালন করেন ফায়সাল খালিদ শুভ।
কারিগরি নিয়ন্ত্রণে ছিলেন রাফায়েল রোজারিও। সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ছিলেন ইয়াকুব আলী ও নুরুল ইসলাম শাহিন। সহযোগিতায় ছিলেন সুমিত রায়, মোস্তফা হাসান, তাবাসসুম হক, বিশাখা পাল, মৃন্ময় পাল, মইনুল ইসলাম ও ফায়সাল রহমান।
উল্লেখ্য, মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী ক্যাম্বেলটাউন বাংলা স্কুল ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সব বাংলা ভাষাভাষীদের জন্য প্রতি রবিবার সকাল দশটা থেকে দুপুর একটা পর্যন্ত উন্মুক্ত থাকে।