লক্ষ্যমাত্র পূরণে প্রতিকূল আবহাওয়ার একদিন পর ফের লবণ চাষে মাঠে নেমেছেন কুতুবদিয়ার চাষিরা। গত বছর দেশে ২২ দশমিক ৩৩ লাখ লবণ উৎপাদনের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রেকর্ড করে। এরমধ্যে কুতুবদিয়ার ২ লাখ ৮৫ হাজার ৮শ’ ৯৫ মেট্রিক টন লবণ উৎপাদিত হয়েছিল।
এবার সেই রেকর্ড গড়িয়ে নতুন রেকর্ড করতে পারে চাষিরা। এজন্য গত বছরের তুলনায় দ্বীপে ২ শতক ৬৭ একর জমিতেও লবণ চাষ করছেন তারা। তবে, দেশের চাহিদা পূরণ করে বিদেশে রপ্তানি করতে পারবে বলে দাবি করেন সংশ্লিষ্টরা। সেক্ষেত্রে বেশি লাভবান হবেন চাষিরা। গত শুক্রবার বৃষ্টি শেষ হতে না হতেই শুরু হয়েছে লবণ চাষের কর্মযজ্ঞ। বিস্তীর্ণ এলাকায় রোদের মধ্যে কাজ করেও তাদের চেহারায় তেমন ক্লান্তির ছাপ নেই। কুতুবদিয়া উপজেলা লবণের মাঠ জুড়ে এসব চিত্র দেখা যায়।
লবণ চাষি আব্দুল মালেক, রাসেল, হান্নান, মফিজসহ অনেকেই বলেন, শুক্রবার বৃষ্টির কারণে সাময়িক লবণ উৎপাদন বন্ধ ছিল। শনিবার ভোর থেকে মাঠে ফের লবণ উৎপাদন শুরু হয়। এই বছর লবণের ন্যায্যমূল্য থাকায় রাত-দিন মাঠে পড়ে রয়েছেন তারা।
বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুঠির শিল্প (বিসিক) কুতুবদিয়ার লবণ প্রদর্শনীর পরিদর্শক জাকের হোছাইন বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, বৃষ্টির কারণে লবণ উৎপাদন একদিন বন্ধ থাকলেও পুনরায় মাঠে ফিরেছে চাষিরা। চলতি মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে লবণ উৎপাদন ইতিহাসের সর্বোচ্চ রেকর্ড হতে পারে বলে জানান তিনি।