বাবার চেয়ে ছেলে বয়সে বড় ৪ বছর, আর মায়ের চেয়ে ১৪ বছর। জন্ম নিবন্ধনের বয়সে এমন ভুল তথ্য লিপিবদ্ধ হওয়ায় নানা বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে কলেজ পড়ুয়া ছাত্র আব্দুস সাত্তারকে। হতে পারছেন না ভোটার। তিনি পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার করমজা ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের পুন্ডুরিয়া গ্রামের বাসিন্দা মো. আজমত আলীর ছেলে।
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদে নিবন্ধন সংশোধনের জন্য আবেদন করে দীর্ঘদিন ঘুরেও কোনো সমাধান মিলছে না তার। কলেজ পড়ুয়া আব্দুস সাত্তার তার ভবিষ্যৎ নিয়ে আছেন দুশ্চিন্তায়।
ভুক্তভোগী আব্দুস সাত্তার বলেন, জন্ম নিবন্ধনের তথ্য সংগ্রহ করার সময় সংগ্রহকারীর ভুলে এমন বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে আমাকে। গত বছর এলাকায় ভোটার তথ্য সংগ্রহকারীরা তথ্য সংগ্রহ করতে এলে ভোটার হওয়ার জন্য আমার কাছে থাকা সকল কাগজপত্র জমা দেই তাদের কাছে। যেদিন সবাইকে ভোটারের ছবি তোলার জন্য ডাকা হয়, সেদিন ছবি তোলার জন্য গেলে আমারটা বাতিল করা হয় এবং বয়স সংশোধন করে নতুন করে আবেদন করতে বলেন। এই ভুল সংশোধন করতে গিয়ে নানা বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে আমাকে। সকল কাগজপত্র জমা দেয়ার পরেও বয়স কোনোভাবেই সংশোধন হচ্ছে না। সব মিলিয়ে ভবিষ্যতে চাকরিসহ সকল বিষয় নিয়ে আমি ভীষণ দুঃশ্চিন্তায় আছি।
করমজা ইউপি সচিব আব্দুল মতিন জানান, জন্ম নিবন্ধনের এরকম জটিলতা বহু মানুষের রয়েছে। অনেকের সংশোধনও করা হয়েছে। তবে বর্তমানে সার্ভার থেকে বয়স সংশোধনের অপশনটাই তুলে দিয়েছেন। যে কারণেই এখন আর বয়স সংশোধন করা সম্ভব হচ্ছে না। আবার যদি সার্ভারে বয়স সংশোধনের অপশন আসে সংশোধন করা যাবে বলে জানান।
এ ব্যাপারে সাঁথিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাসুদ হোসেন বলেন, এ বিষয়ে আমার জানা ছিল না। ওই ছেলেটি তার প্রয়োজনীয় কাগজ পত্রসহ আমার সাথে যোগাযোগ করলে বিষয়টি সমাধানের জন্য সহযোগিতা করব।