সুন্দরবনে শিকার নিষিদ্ধ অভয়ারণ্যে মাছ ধরতে না দেয়ায় বন কর্মকর্তাসহ তিন বনরক্ষীকে পিটিয়ে আহত করেছেন শরণখোলা উপজেলা ছাত্রলীগের স্থগিত কমিটির সভাপতি আসাদ হাওলাদার। এসময় তার সঙ্গে আরো ১০-১২ জন ছিলেন।
এ হামলার ঘটনায় আসাদ হাওলাদারসহ ছাত্রলীগের পাঁচজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরো ৮ জনকে আসামি করে শরণখোলা থানায় মামলা করেছে সুন্দরবন বিভাগের বগী স্টেশন কর্মকর্তা ফরেস্টার মো. জাহাঙ্গীর আলম। পুলিশ শুক্রবার সকালে অভিযান চালিয়ে মো. জসিম নামে এক ছাত্রলীগ কর্মীকে গ্রেফতার করেছে।
সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জ কর্মকর্তা (এসিএফ) শেখ মাহাবুব হাসান জানান, আসাদুজ্জামান হাওলাদার ও ছাত্রলীগকর্মী সাইফুল ইসলাম রুবেল খলিফা সুন্দরবনে শিকার নিষিদ্ধ অভয়ারণ্যে মাছ ধরার জন্য চাপ প্রয়োগ করে আসছিল। তাদের এই অনৈতিক দাবি না মানলে তারা বনরক্ষীদের বিভিন্ন সময় হুমকি দিতে থাকে। একপর্যায়ে বৃহস্পতিবার (২১মার্চ) দুপুরে আন্তর্জাতিক বন দিবস পালন শেষে পূর্ব সুন্দরবন বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) কাজী মুহাম্মদ নুরুল করিমকে এগিয়ে দিতে শরণখোলা রেঞ্জ সংলগ্ন বাজারের খেয়াঘাটে পৌঁছানো মাত্র পরিকল্পিতভাবে আসাদুজ্জামান হাওলাদার ও সাইফুল ইসলাম রুবেল খলিফার নেতৃত্বে ১০ থেকে ১২ জন তাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। হামলায় বন কর্মকর্তা ও বনরক্ষীসহ তিনজন গুরুতর আহত হন।
এ ব্যাপারে শরণখোলা উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান রায়হান উদ্দিন আকন শান্ত বলেন, একজন কর্মকর্তাসহ বনরক্ষীদের মারপিট করে আহত করার ঘটনাটি খুবই ন্যাক্কারজনক। এঘটনায় জড়িত কাউকেই ছাড় দেয়া হবে না। যে যতো বড় নেতাই হোক তাদের আইনের আওতায় এনে শাস্তি দেয়া হবে।
শরণখোলা হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. তাওহিদুল ইসলাম বলেন, আহত সবাইকে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। আহতরা এখন মোটামুটি সুস্থ আছেন।
শরণখোলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এইচ এম কামরুজ্জামান বলেন, এহামলার ঘটনায় সুন্দরবন বিভাগের বগী স্টেশন কর্মকর্তা ফরেস্টার মো. জাহাঙ্গীর আলম বৃহস্পতিবার রাতে বাদী হয়ে মো. আসাদ হাওলাদার, সাইফুল ইসলাম রুবেল খলিফা, মাসুদুর রহমান রনি, আমির হাসান চয়ন, মো. জসিমের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরো ৮ জন জনকে আসামি করে থানায় মামলা করেছেন। শুক্রবার সকালে অভিযান চালিয়ে মামলার আসামী মো. জসিমকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্যান্য অসামিদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।