আসন্ন ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে বগুড়া শহর যানজটমুক্ত রাখতে শনিবার থেকে শহরে ইজিবাইক অটোরিকশা প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে জেলা পুলিশ। যেখানে সেখানে গাড়ি-অটোরিকশার পার্কিং, সড়কের উপর ভ্রাম্যমাণ দোকান, ফুটপাত দখল করাসহ প্রতিনিয়ত নানা কারণে যানজট সৃষ্টি হচ্ছে বগুড়া শহরে। এসবের মূল কারণ অবৈধ ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা, ইজিবাইক। এসব থেকে নিরসন পেতে ইজিবাইক অটোরিকশা প্রবেশে নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
জানা যায়, দিন দিন শহরের অবৈধ যানবাহনের সংখ্যা বেড়েই চলছে। শহরের চলাচলরত ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা, ইজিবাইক ট্রাফিক আইন মানছে না। ইচ্ছামত যত্রতত্র রিকশা স্ট্যান্ড বসিয়ে যানজটের সৃষ্টি করে। উত্তরবঙ্গের ১৬টি জেলা শহরের মধ্যে বগুড়া সবচেয়ে জনবহুল শহর। একই সাথে বাণিজ্যিক শহর বলে জেলায় প্রতিদিন উত্তরাঞ্চলের অন্যান্য জেলা থেকে প্রায় সাড়ে ৩ থেকে ৪ লাখ মানুষের সমাগম হয়ে থাকে। তারা ব্যবসা, চিকিৎসা, শিক্ষাসহ নানা কাজে বগুড়ায় আসেন। যার ফলে বগুড়া শহর সবসময় সরগরম থাকে। শহরের মধ্যে নিয়ম না মেনে দিনরাত অবৈধ অটোরিকশাসহ মালবাহী ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান যাতায়াতের কারণে যানজট সৃষ্টি হয়।
মতবিনিময় সভায় বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পদোন্নতিপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার) আব্দুর রশিদের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার (পদোন্নতিপ্রাপ্ত অতিরিক্ত ডিআইজি) সুদীপ কুমার চক্রবর্তী। অন্যান্যর মধ্যে বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পদোন্নতিপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার) মোতাহার হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ট্রাফিক) সুমন রঞ্জন সরকার, বগুড়া জেলা বাস, মিনিবাস, কোচ পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি শাহ মো: আখতারুজ্জামান ডিউক, সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আব্দুল হামিদ মিটুল।
পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তী জানান, বগুড়াকে উত্তরবঙ্গের প্রাণকেন্দ্র বলা হয়। আসন্ন ঈদে অতিরিক্ত মানুষ এবং যানবাহনের চাপে সড়কে সৃষ্টি হয় মাত্রাতিরিক্ত যানজটের। আর এই যানজট নিয়ন্ত্রণে ট্রাফিক বিভাগকে হিমশিম খেতে হয়। তবে প্রতিবছর এই সময়ে নানামুখী ইতিবাচক উদ্যোগ নেয়ার ফলে কিছুটা হলেও স্বস্তি ফেরে সড়কে। এ কারণে শহরে ইজিবাইক অটোরিকশা প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে জেলা পুলিশ।