রাষ্ট্রবিজ্ঞানের প্রভাষক থেকে প্রেষণে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর এপিএস এবং তৃতীয় সচিব হিসেবে মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশনে চাকরি করার ১৮ বছর পর জানা গেল ওই বিসিএস কর্মকর্তার নিয়োগই ভুয়া। ১০ শতাংশ সরাসরি কোটায় বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। বর্তমানে নিয়োজিত আছেন যুব উন্নয়ন অধিদফতরের ইমপ্যাক্ট তৃতীয় পর্বের প্রকল্প পরিচালক হিসেবে। এস এম আলমগীর কবীর নামের এই সরকারি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মামলায় তার বিরুদ্ধে জাল জালিয়াতি ও প্রতারণার অভিযোগ আনা হয়েছে। গতকাল দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে সংস্থাটির সহকারী পরিচালক সহিদুল ইসলাম তার বিরুদ্ধে মামলাটি করেন। দুদকের বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
মামলার আর্জিতে বলা হয়, এস এম আলমগীর কবীর বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের প্রভাষক রাষ্ট্রবিজ্ঞান পদ থেকে প্রেষণে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর এপিএস এবং তৎপরবর্তীতে তৃতীয় সচিব হিসেবে মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশনে কর্মকালীন সরকারি কর্মচারী হয়ে জাল-জালিয়াতির আশ্রয় নিয়েছেন। তিনি বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের ১০ শতাংশ সরাসরি কোটায় সহযোগী অধ্যাপক (রাষ্ট্রবিজ্ঞান) পদে অবৈধ পন্থায় জাল-জালিয়াতি ও প্রতারণার আশ্রয় নেওয়ায় ১৮৬০ সালের দণ্ডবিধির ৪২০/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১ ধারা ও ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় তার বিরুদ্ধে মামলাটি হয়েছে।