গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে ধানক্ষেত থেকে আউয়াল ইসলাম শুভ (২৬) নামে এক ব্যবসায়ী যুবকের গলাকাটা লাশ উদ্ধারের ঘটনায় শ্রী নীল বাবু চন্দ্র দাস (২৩) নামের একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সেই সাথে হত্যায় ব্যবহৃত দাসহ বিভিন্ন আলামত জব্দ করা হয়।
বুধবার বেলা ১২টার দিকে নিজ কার্যালয়ের কনফারেন্স রুমে এক প্রেস ব্রিফিংএ এসব তথ্য জানান পুলিশ সুপার মো. কামাল হেসেন। এরআগে মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে গাজীপুরের বাসন উপজেলার সাদুর বাজার এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার শ্রী নীল বাবু চন্দ্র দাস (২৩) উপজেলার দারগার খামার মাঝিপাড়া এলাকার শ্রী নিপেন চন্দ্র দাসের ছেলে।
পুলিশ সুপার বলেন, গত ১৩ মার্চ ইফতারির ১৫ থেকে ২০ মিনিট পর সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে মৃত আউয়াল ইসলাম শুভ একটি অটোতে চড়ে বাড়ির দিক হতে আসে। এসময় আসামী শ্রী নীল বাবু চন্দ্র দাস, ইসমাইল, ভোলা ঐ অটোতে উঠে ব্যাপারী পাড়ার মোড়ে নেমে যায়। মৃত আউয়াল ইসলাম শুভ অটো যোগে মাঠের হাটে চলে গেলে। তারা বেশ কিছু লোকজন ব্যাপারী পাড়ার মোড়ে লিটনের চায়ের দোকানে বাংলাদেশ বনাম শ্রীলংকার প্রথম ওয়ান ডে খেলা দেখতে থাকে।
পরে রাত পৌনে ১০টার দিকে আউয়াল মাঠের হাটের দিক থেকে আসতে থাকলে ইসমাইল তাকে রাস্তায় থামায়। পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী ইসমাইল ও শ্রী নীল বাবু চন্দ্র দাস টাকা দেওয়ার কথা বলে আউয়ালকে পাশের মানস নদীর ধারে ভূট্টা ও ধানের জমির মাঝখানে নিয়ে যায়। সেখানে ইসমাইল তার কোমড়ে থাকা দা বের করে আউয়ালের মাথার নিচে ঘাড়ের উপর পিছন থেকে আঘাত করলে আউয়াল মাটিতে পড়ে যায়। এ সময় শ্রী নীল বাবু চন্দ্র দাস আউয়ালের পা চেপে ধরে। আউয়াল মরে নাই ভেবে ইসমাইল তার নিকট থাকা ধারালো দা দিয়ে আউয়ালের গলার উপর্যুপরি কোপ দিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে।
কামাল হোসেন বলেন, ইসমাইল আউয়ালের পকেট হতে কিছু টাকা নিয়ে সেখান তেকে সাড়ে তিন হাজার টাকা শ্রী নীল বাবুকে দেয়। পরে আসামিরা পাশের ড্রেনের পানিতে দা ও নিজের হাত পা ধুয়ে চলে যায়। মামলার তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।
প্রেস বিফ্রিংএ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অর্থ ও প্রশাসন) সদ্য পদোন্নতি প্রাপ্ত পুলিশ সুপার মো. ইবনে মিজান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এ-সার্কেল) ধ্রুব জ্যোতিময় গোপ, সুন্দরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মাহবুব আলমসহ বিভিন্ন পদমর্যাদার সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।