সিরিজ জিততে বাংলাদেশের টার্গেট ২৩৬ রান

0

সিরিজ জেতার লক্ষ্যে তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা। আজ সোমবার চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস হেরে ফিল্ডিং করে বাংলাদেশ দল। সিরিজ জয়ের লক্ষ্যে শেষ ওয়ানডেতে শ্রীলঙ্কাকে অল্প রানে আটকে দিয়েছে বাংলাদেশ। জিততে হলে স্বাগতিকদের তাড়া করতে হবে ২৩৬ রান।   

সিরিজে ১-১ সমতা হওয়ায় বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা শেষ ম্যাচটি রূপ নিয়েছে অলিখিত ফাইনালে। আগের দুটি ম্যাচ দিবারাত্রির হলেও এটি হচ্ছে সকাল ১০টা থেকে। এদিন টস হেরে বোলিং করতে নেমে ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে বাংলাদেশকে উইকেট এনে দেন তাসকিন আহমেদ। সাজঘরে ফেরান আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান পাথুম নিসাঙ্কাকে। বল ডিফেন্ড করতে গিয়ে পায়ে লাগিয়ে বসেন নিসাঙ্কা, জোরালো আবেদনে সাড়া দেন আম্পায়ার। রিভিউ নিতে যেয়েও নেননি শেষ পর্যন্ত। ১ রানে ফেরেন নিসাঙ্কা, শুরুতেই উইকেট পায় বাংলাদেশ।

প্রথম দুই ওয়ানডেতে সুযোগ পাননি। তরুণ পেসার তানজীম হাসান সাকিব ইনজুরিতে ছিটকে যাওয়ায় সুযোগ মেলে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে। প্রথম পাওয়ার প্লে শেষে আক্রমণে এসে নিজের প্রথম ওভারের দ্বিতীয় বলেই সাফল্য পান মুস্তাফিজুর রহমান। দারুণ ভেতরে ঢোকা ডেলিভারিতে তিনি কট বিহাইন্ড করলেন সাদিরা সামারাউইক্রামাকে। সাজঘরে ফেরার আগে ১৫ বলে ১৪ রান করেন তিনি।

মুস্তাফিজ বোলিংয়ে এসেই উইকেটের দেখা পেয়েছিলেন। এরপর ইনিংসের ১৮তম ওভারে এসে প্রথম বলেই কুসল মেন্ডিসকে ফেরান রিশাদ হোসেন। রিশাদের টার্ন করা বলে অফে খেলতে গিয়ে খোঁচা দেন কুসল। ৫১ বলে ২৯ রান আসে তার ব্যাট থেকে। এরপর বিপজ্জনক হওয়ার আভাস দেওয়া জুটি ভাঙেন মুস্তাফিজুর রহমান। অফ স্টাম্পের বাইরে লেংথ ডেলিভারি উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন চারিথ আসালাঙ্কা। ৫ চারে ৪৬ বলে ৩৭ রান করে ফিরে যান আসালাঙ্কা। তার বিদায়ে ভাঙে জানিথ লিয়ানাগের সঙ্গে গড়া ৪৩ রানের জুটি।

১৩৭ রানে যেতেই ষষ্ঠ উইকেট হারায় শ্রীলঙ্কা। এবার মেহেদী হাসান মিরাজের ঘূর্ণিতে পরাস্ত হন দুনিথ বেলালাগে। মিরাজের বলে কাউ কর্নার দিয়ে স্লগ সুইপ শট খেলতে গিয়ে টাইমিংয়ে গড়বড় হওয়ায় মিড উইকেটে সৌম্য সরকারের হাতে ধরা পড়েন বেলালাগে। ১৮ বল খেলে ১ রান আসে তার ব্যাট থেকে। শ্রীলঙ্কা শিবিরে এরপর আবারও মিরাজ আঘাত হানেন। এবার তিনি ফিরিয়ে দেন ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গাকে। দলীয় ১৫৪ রানের মাথায় ৩৫তম ওভারের প্রথম বলেই হাসারাঙ্গাকে বোল্ড করেন মিরাজ। ৮ বলে ১ ছক্কায় ১১ রান করে যান তিনি।

১৫৪ রানেই ৭ উইকেট হারিয়ে বসা শ্রীলঙ্কা অষ্টম উইকেটে প্রতিরোধ গড়ে। জানিথ লিয়ানাগে ও মহেশ থিকশাানা গড়েন এই প্রতিরোধ। অষ্ট উইকেট জুটিতে তারা দুইজন ৫৯ রান সংগ্রহ করেছেন। তাতে শ্রীলঙ্কার দলীয় সংগ্রহ ২০০ পেরিয়ে যায়। লিয়ানাগে-থিকশানার জুটিটি বাংলাদেশের মাথা ব্যাথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল। তবে এই জুটি ভাঙেন সৌম্য সরকার। তার বলে ডিপ মিডউইকেটে উড়িয়ে মারতে গিয়ে বদিল ফিল্ডার তানজিম হাসান সাকিবের হাতে ধরা পড়েন থিকশানা। ৪০ বল খেলে কোনো বাউন্ডারি ছাড়া ১৫ রান করেন তিনি।

১৫ রান করে থিকশানা বিদায় নিলেও শেষ অবধি টিকে থাকা লিয়ানাগে তুলে নেন সেঞ্চুরি, ১০১ বলের মোকাবেলায়। তার ব্যাটে ভর করে নির্ধারিত ৫০ ওভারে সবগুলো উইকেট হারিয়ে ২৩৫ রান জড়ো করে সফরকারীরা।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here