ইউরোপ অভিবাসনপ্রত্যাশীদের জন্য সুখবর। ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশ জার্মানি এবার কর্মক্ষেত্রে অভিবাসীদের মাধ্যমে প্রতি বছর ৬০ হাজার শূন্যপদ পূরণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সে লক্ষ্যে ইতোমধ্যে খসড়া আইন প্রণয়ন করেছে দেশটি। খসড়ায় অভিবাসন, কারিগরি প্রশিক্ষণ ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) বাইরের দেশগুলো থেকে অভিবাসী আকর্ষণের বিষয় তুলে ধরা হয়েছে।
ইউরোপের শীর্ষ অর্থনীতির দেশটিতে বর্তমানে চাহিদার তুলনায় শ্রমশক্তি অনেক কম। সে ঘাটতি পূরণে এ উদ্যোগ নিয়েছে চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎসের সরকার।
প্রয়োজনীয় দক্ষ শ্রমশক্তি নিশ্চিত করা জার্মানির অন্যতম লক্ষ্য। জার্মানির শ্রমমন্ত্রী হুবার্টাস হেইল বলেন, “আগামী দশকে দক্ষ শ্রমশক্তির ভিত্তি নিশ্চিত করবে জার্মানি। অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে এটিই এখন দেশটির প্রধান কাজ।”
জার্মানির শ্রম মন্ত্রণালয়ের সূত্রে রয়টার্স জানায়, ২০২২ সালে দেশটির কর্মক্ষেত্রে শূন্যপদের সংখ্যা ছিল প্রায় ২০ লাখ।
আইনটি বাস্তবায়ন হলে দেশটির অভিবাসন নীতিতে নতুন শুরু হবে। এমন অভিমত ব্যক্ত করে জার্মানির অর্থমন্ত্রী ক্রিশ্চিয়ান লিন্ডনার বলেন, “জার্মানির অর্থনৈতিক সমৃদ্ধিতে অবদান রাখতে পারবে এমন সব দক্ষ কর্মীকে স্বাগতম।”
প্রস্তাবিত আইনে অভিবাসীদের জার্মানিতে প্রবেশের তিনটি পদ্ধতির কথা উল্লেখ করা হয়েছে। প্রথম পদ্ধতি অনুসারে একজন অভিবাসন প্রত্যাশীর জার্মানিতে গ্রহণযোগ্য একটি ডিগ্রি থাকতে হবে। সেই সঙ্গে থাকতে হবে একটি নিয়োগ চুক্তি। দ্বিতীয় পদ্ধতি অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে একটি ডিগ্রি অথবা প্রশিক্ষণ থাকতে হবে। পাশাপাশি দুই বছর কাজের অভিজ্ঞতার শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। তৃতীয় পদ্ধতিটিকে ‘অপরচুনিটি কার্ড’ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে। এ পদ্ধতিতে জার্মানিতে কাজ খুঁজে নেওয়ার মতো যোগ্যতা আছে, এমন ব্যক্তিদের জন্য সুযোগ রাখা হয়েছে। সেক্ষেত্রে কয়েকটি সূচক নির্ধারণ করা হয়েছে। সূচকগুলো হলো শিক্ষাগত যোগ্যতা, ভাষাগত দক্ষতা, পেশাগত অভিজ্ঞতা, জার্মানির সঙ্গে সম্পৃক্ততা ও বয়স। অপরচুনিটি কার্ডের ক্ষেত্রে একজন ব্যক্তি অস্থায়ী ভিসা নিয়ে জার্মানিতে গিয়ে কাজ খুঁজে নিতে পারবেন।
এ উদ্যোগের অংশ হিসেবে কয়েকটি দেশ থেকে আরও বেশি কর্মী নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জার্মানির মন্ত্রিসভা। দেশগুলো হল- আলবেনিয়া, বসনিয়া-হার্জেগোভিনা, কসোভো, দ্য রিপাবলিক অব নর্দার্ন মেসিডোনিয়া, মন্টেনেগ্রো ও সার্বিয়া। সিদ্ধান্ত অনুসারে, এখন থেকে প্রতি বছর দেশগুলো থেকে ৫০ হাজার কর্মী নিতে পারবে জার্মানি। এর আগে সংখ্যাটি ২৫ হাজারের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল। সূত্র: রয়টার্স