উৎকণ্ঠায় সোমালিয়ার দস্যুদের হাতে জিম্মি হোসাইন আলীর পরিবার

0

সোমালিয়ার দস্যুদের হাতে অপহৃত বাংলাদেশি জাহাজ ‘এমভি আবদুল্লাহ’র ২৩ নাবিকের মধ্যে বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলার বিষারকান্দি গ্রামের উমারের পাড় গ্রামের হোসাইন মো. আলীও আছেন। তার পরিবারে চরম উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে।  

২০১৪ সালে উমারের পাড় ইউবিসি স্কুল থেকে এসএসসি পাশ করে ঢাকায় মেরিন একাডেমিতে লেখাপড়া করেন হোসাইন মো. আলী। পড়াশোনা শেষে করোনাকালে চাকরি নেন বিদেশগামী জাহাজে। বর্তমানে ‘এমভি আবদুল্লাহর’ ইঞ্জিন রুমের অয়েল ম্যানের দায়িত্বে ছিলেন হোসাইন মো. আলী। গত প্রায় ৬ মাস আগে পিরোজপুর জেলার কাউখালীর রাজাপুর গ্রামের ইয়া মনিকে বিয়ে করেন তিনি। 

ওইদিন (মঙ্গলবার) বিকেল ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত হোয়াটসঅ্যাপে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন হোসাইন মো. আলী।

এ সময় আলী তার পরিবারকে জানায়, তাদের জাহাজটি ছিনতাই হয়েছে। দস্যুরা তাদের জাহাজটি ছিনতাই করে সোমালিয়া উপকূলের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। তাদের ২৩ নাবিককে একটি কক্ষে আটকে রেখেছে। পরিবার-স্বজনদের সঙ্গে কথা বলার জন্য তাদের কয়েক ঘণ্টার জন্য মোবাইল দেয়া হয়েছিলো। পরে তাদের কাছ থেকে মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয় তারা। এ কারণে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছেন না পরিবারের সদস্যরা। 

দস্যুদের কাছে জিম্মি আলীর সঙ্গে যোগাযোগ করতে না পেরে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন তার বাবা এমাম হোসেন মোল্লা এবং মা নাসিমা বেগম। তারা তাদের ছেলেসহ অন্য জিম্মি দের মুক্তিতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন। 

অপহৃত স্বামীর মুক্তির জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন হোসাইন মো. আলীর স্ত্রী ইয়া মনি। 

 

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here