জমজমাট গোলের গুড়ের বাজার

0

পিঠা-পায়েসে অন্য গুড়ের চেয়ে গোলের গুড়ের আলাদা স্বাদ। তাই দিনদিন গোলের গুড়ের চাহিদা বাড়ছে। ক্রেতারাও চাহিদা মতো গোলের গুড় কিনতে বাজারে ভিড় করেছেন। মোট কথা পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় গোলের গুড়ের বাজার এখন জমজমাট। তবে ক্রেতাদের চাপে ব্যস্ত সময় কাটাতে হচ্ছে ব্যবসায়ীসহ গুড় তৈরির কারিগরদের।

গোল গাছের সংগৃহীত রস থেকে বছরে এ উপজেলায় প্রায় ৩ কোটি টাকার গুড় বিক্রি হয় বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে থেকে জানা গেছে। কিন্তু গুড় প্রস্তুতকারকরা বলছেন, সুষ্ঠু বাজার ব্যবস্থাপনা না থাকার কারণে তারা ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। তবে অতি মিষ্টি এ গুড়ের পরিচিতি এক সময় এলাকার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলেও বর্তমানে এটি বেশ বাণিজ্যিক প্রসারতা লাভ করেছে।

নীলগঞ্জ ইউনিয়নের নবীপুর গ্রামের সুনিতি বলেন, বিয়ের পর থেকেই বছরের এ সময়ে রস ফুটিয়ে গুড় তৈরি করি। আগে অনেক বেশি গুড় হতো। এখন কমে গেছে।

গোল চাষি নিঠুর হাওলাদার বলেন, এখন বাজারে গিয়ে গুড় বিক্রি করতে হয় না। এক শ্রেণির খুচরা বিক্রেতা বাড়ি এসেই গুড় নিয়ে যান। প্রতি কেজি ২০০ থেকে ২২০ টাকা দরে বিক্রি করা হচ্ছে।

গুড় ক্রেতা আনসার উদ্দিন বলেন, অন্য গুড়ের চেয়ে গোলের গুড় আলাদা স্বাদযুক্ত, সাশ্রয়ী হওয়ায় এবং দীর্ঘদিন সংরক্ষণে রাখা যায় বলে গোলের গুড়ের ব্যাপক চাহিদা। গুড়ের বাজারে গুড় ক্রয় করতে আসা মরিয়ম বেগম বলেন, গোলের গুড়ের পিঠা বা পায়েস অতি সুস্বাদু। তিনিও ৩ কেজি গুড় কিনেছেন বলে জানান।

কলাপাড়া ব্যবসায়ী সমিতির অর্থ সম্পাদক মো. নুরুজ্জামান খালাশি বলেন, গোলের গুড়ের চাহিদা বেশি। তাই বাজারে ক্রেতাদেরও ভিড় থাকে।

বন বিভাগের মহিপুর ভারপ্রাপ্ত রেঞ্জ কর্মকর্তা আবুল কালাম জানান, পরীক্ষামূলকভাবে বেশ কয়েকটি স্থানে গোলগাছের বীজ রোপণ করা হয়েছে। এতে ব্যাপক সফলতা পেয়েছি।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here