‘কালো সোনা’খ্যাত পিঁয়াজের বীজ চাষ করে লাভবান হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন ঠাকুরগাঁওয়ের চাষিরা। গত কয়েক বছরে ভালো ফলন ও দাম পাওয়ায় এবারও বীজ চাষে আগ্রহ দেখিয়েছেন কৃষকরা। কৃষি বিভাগ বলছে, চলতি বছর জেলায় ২৩ কোটি টাকার পিঁয়াজ বীজ উৎপাদন হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার চাড়োল গ্রামে মাঠের পর মাঠে দেখা মেলে সাদা রঙের ফুলে ছেয়ে যাওয়া পিঁয়াজ বীজের ক্ষেত। এসব ক্ষেত করে শুধু কৃষকরাই লাভবান হননি, স্থানীয় যুবকদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে।
পিঁয়াজের বীজ চাষ করে সফলতার স্বপ্ন দেখছেন চাড়োল গ্রামের কৃষক রফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, এ বছর তিনি প্রায় ৩ বিঘা জমিতে পিঁয়াজের বীজ চাষ করেছেন। তার উৎপাদিত পিঁয়াজ বীজ সরবরাহ করা হয় দেশের বিভিন্ন জেলায়। ফলন ভালো হওয়ায় প্রায় ৪ লাখ টাকা মুনাফার আশা করছেন তিনি। মাটি ও আবহাওয়া পিঁয়াজ বীজ উৎপাদনের জন্য উপযোগী হওয়ায় এ চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন জেলার অন্য কৃষকরাও।
পিঁয়াজ ক্ষেতে দৈনিক ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা মজুরিতে কাজ করেন স্থানীয় যুবকরা। উপার্জিত অর্থ দিয়ে পরিবারকে সহায়তা করছেন। কারও কারও মিটছে পড়ালেখার খরচ।
ঠাকুরগাঁও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর অতিরিক্ত উপ-পরিচালক (শস্য) আলমগীর কবির বলেন, চলতি মৌসুমে জেলায় ১১২ হেক্টর জমিতে পিঁয়াজ বীজ আবাদ হয়েছে, যা গত বছরের তুলনায় এক হেক্টর কম। প্রতি হেক্টরে ৯০০ কেজি বীজ হলে বাজারমূল্য প্রায় ২৩ কোটি টাকা।