গাজার বাসিন্দাদের ‘অনাহার’ রুখতে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে জরুরি পদক্ষেপ নিতে আন্তর্জাতিক আদালতের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। দেশটি বলছে, গাজা পরিস্থিতিতে যেসব পরিবর্তন এসেছে এবং নতুন যেসব সত্যি সামনে এসেছে, তারই আলোকে আইসিজেতে ফিরতে বাধ্য হয়েছে তারা। বিশেষ করে গাজায় ব্যাপক অনাহার পরিস্থিতি তাদের আদালতের দ্বারস্থ করেছে। উপত্যকাটিতে অনাহারে মৃত্যুর মুখে পড়া ফিলিস্তিনিদের বাঁচাতে এটাই হতে পারে আদালতটির জন্য সবশেষ সুযোগ।
গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলের হামলায় বৃহস্পতিবার পর্যন্ত উপত্যকাটিতে ৩০ হাজার ৮০০ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৭২ হাজারের বেশি। গাজার হামাস নিয়ন্ত্রিত কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, হামলা শুরুর পর থেকে উপত্যকাটিতে অন্তত ১৮ জন খাবার ও পানির সংকটে মারা গেছেন। এমন পরিস্থিতিতে গাজায় দুর্ভিক্ষ দেখা দিতে পারে বলে আশঙ্কা জাতিসংঘের।
১৯৪৬ সালে নেদারল্যান্ডসের দ্য হেগ শহরে প্রতিষ্ঠা করা হয় আইসিজে। এ আদালত প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য একাধিক দেশের মধ্যে বিবাদের সমাধান করা। আইসিজের দেওয়া রায় মানার আইনি বাধ্যবাধকতা রয়েছে সদস্যদেশগুলোর। তবে রায় বাস্তবায়নে জোর খাটাতে পারেন না আদালতটি। যেমন রাশিয়াকে ইউক্রেনে অভিযান থামাতে নির্দেশ দিয়েছিলেন আইসিজে। তবে কোনো লাভ হয়নি।
এর আগে গত বছরের শেষে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গাজায় গণহত্যার অভিযোগ এনে আইসিজেতে মামলা করেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। মামলার শুনানিতে ইসরায়েলের হামলা বন্ধে আহ্বানও জানানো হয়েছিল। পরে গত জানুয়ারি মাসে গাজায় গণহত্যা ঠেকাতে পদক্ষেপ নিতে ইসরায়েলকে নির্দেশ দেন আদালত। তবে হামলা বন্ধের বিষয়ে কিছু বলা হয়নি।