জেল থেকে বের হয়েই বিজেপিকে কটাক্ষ সিঁধুর

0

১০ মাস কারাভোগের পর অবশেষে জেলের বাইরে পা রেখেছেন কংগ্রেস নেতা তথা প্রাক্তন ক্রিকেটার নভোজিৎ সিং সিঁধু। 

শনিবার জেল থেকে বের হতেই সোজা কাজে নেমে পড়লেন পাঞ্জাব প্রদেশ কংগ্রেসের প্রাক্তন প্রধান। 

শনিবার সকালেই জেল থেকে মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের প্রায় আট ঘণ্টা পরে তিনি জেল থেকে বের হন। এই নিয়েও সরকারকে আক্রমণ করে সিঁধু বলেন, ‘সরকার চেয়েছিল আমার জেল থেকে বেরনোর আগে যেন সমস্ত সংবাদমাধ্যম চলে যায়।’ 

পাটিয়ালার জেল থেকে বেরিয়ে সিঁধু বলেন, ‘পাঞ্জাব এই দেশের ঢাল। যখন স্বৈরাচারীরা এসেছিল, তখন দেশে বিপ্লবও শুরু হয়েছিল, তার নেতৃত্ব দিয়েছিলেন রাহুল গান্ধী।’

তিনি দাবি করেন, কেন্দ্রীয় সরকার পাঞ্জাবে রাষ্ট্রপতির শাসন চালু করার চেষ্টা করছে। 

তিনি বলেন, ‘পাঞ্জাবে রাষ্ট্রপতির শাসন চালু করার চক্রান্ত করা হচ্ছে। ওরা পাঞ্জাবকে দুর্বল করে দিতে চাইছে। কিন্তু আমি রাহুল গান্ধী, প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ও অন্যান্য কংগ্রেস কর্মীদের সঙ্গে প্রাচীরের মতো দাঁড়িয়ে থাকব। কোনও আঘাত করতে দেব না।’

বিজেপির পাশাপাশি পাঞ্জাবের শাসক দল আম আদমি পার্টিকেও আক্রমণ করেন সিঁধু। তিনি বলেন, ‘আমি আমার ছোট্ট ভাই ভগবন্ত মানকে একটা প্রশ্ন করতে চাই। কেন আপনি পাঞ্জাবের মানুষদের বোকা বানালেন? আপনারা বড় বড় প্রতিশ্রুতি দিলেন, এখন তা নিয়ে মজা করছেন। কিন্তু আপনি আজ শুধু খাতায়-কলমে মুখ্যমন্ত্রী হয়ে রয়ে গেছেন।’

প্রসঙ্গত, ১৯৮৮ সালের ২৭ ডিসেম্বর গুরনাম সিং নামের ৬৫ বছর বয়সী এক ব্যক্তির সঙ্গে রাস্তায় বিবাদে জড়ান সিঁধু। গাড়ি পার্ক করা নিয়ে গুরনামের সঙ্গে তার ঝগড়া হয়। তর্কাতর্কির এক পর্যায়ে গুরনাম সিংকে গাড়ি থেকে বের করে মাথায় আঘাত করেন তিনি। এর কয়েকদিন পর হাসপাতালে গুরনাম সিংয়ের মৃত্যু হয়।

সিঁধু ভারতের জাতীয় ক্রিকেট দলের এক সময়ের তারকা খেলোয়াড় ছিলেন। ক্রিকেটের পাট চুকিয়ে তিনি যোগ দেন রাজনীতিতে। এরপর দীর্ঘ সময় ভারতের সবচেয়ে প্রাচীন রাজনৈতিক দল কংগেসের পাঞ্জাব প্রদেশের প্রধানের দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। কিন্তু সর্বশেষ নির্বাচনে পাঞ্জাব কংগ্রেসের হাতছাড়া হয়ে যাওয়ার পর তিনি দায়িত্ব ছেড়ে দেন।

সূত্র : এনডিটিভি।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here