৪ মাস বৃষ্টির দেখা নেই, খরার ঝুঁকিতে রংপুর অঞ্চল

0

রংপুরসহ উত্তরাঞ্চলের মানুষ গত ৪ মাস ধরে বৃষ্টির দেখা পাচ্ছে না। ফলে খরার ঝুঁকিতে পড়েছে এই অঞ্চল। বৃষ্টিপাত না হওয়ায় ফসলের চাষাবাদে নেতিবাচক প্রভাব পড়ার শঙ্কা রয়েছে।

আবাহাওয়া অফিস এই বিষয়টিকে অস্বাভাবিক আবহাওয়া বলে মনে করছে। এই পরিস্থিতিতে বোরোসহ অন্যান্য ফসল এখন পুরোপুরি সেচ নির্ভর হয়ে পড়েছে। অপরিকল্পিত সেচ যন্ত্র ব্যবহারের ফলে কৃষকদের বাড়তি খরচের পাশাপাশি ভূগর্ভের পানির স্তরও নেমে যাচ্ছে।

তথ্য মতে, খরার ঝুঁকিতে রয়েছে রংপুর, দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও, জয়পুরহাট, রাজশাহী, নওগাঁ ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা। জলবায়ুর পরিবর্তনসহ নানান কারণে উত্তরাঞ্চল বৃষ্টি শূন্য হয়ে পড়ছে। ফলে প্রকৃতিতে পড়ছে নেতিবাচক প্রভাব। 

আবহাওয়াবিদদের মতে, চলতি বছরে এই অঞ্চলে এলোমেলো আবাহাওয়া বিরাজ করছে। এবারের শীত দীর্ঘ হয়েছে। মাঘ শেষে ফাল্গুনেও এই অঞ্চলে শীতের আমেজ বিরাজ করছে। বৃষ্টির অভাবে খরা পরিস্থিতি ৪ থেকে ৫ মাস পর্যন্ত বিস্তৃত হতে চলেছে। 

এদিকে, বৃষ্টিপাত না হওয়ায় বোরোসহ অন্যান্য আবাদ সেচ নির্ভর হয়ে পড়েছে। এতে ভূগর্ভস্থ পানির ওপর চাপ বাড়ছে। রংপুরসহ উত্তরাঞ্চলের ১৬ জেলায় কয়েক লাখ সেচ যন্ত্র দিয়ে অপরিকল্পিতভাবে ভূগর্ভ থেকে পানি উত্তোলন করা হচ্ছে। ফলে পানির স্তর নিচে নেমে গিয়ে কৃষি উৎপাদন হুমকির সম্মুখীন হচ্ছে। আবাদি জমিও সেচ সংকটে পড়ছে। কৃষকদের উৎপাদন ব্যয় বেড়ে যাচ্ছে। ভূপ্রকৃতি হচ্ছে ক্ষতিগ্রস্ত। এ বিষয়ে আইন থাকলে তা বাস্তবায়নের কোনো পদক্ষেপ নেই। 

রংপুর অফিসের আবহাওয়াবিদ মোস্তাফিজার রহমান বলেন, অন্য সময় ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত কিছু বৃষ্টি হলেও গত দুই বছর থেকে রংপুর অঞ্চলে ৪ মাসে বৃষ্টি শূন্যের কোঠায়। মার্চে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাত নাও হতে পারে। এটাকে অস্বাভাবিক আবহাওয়া বলা যেতে পরে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here