আওয়ামী লীগ সরকার গায়ের জোরে ক্ষমতায় থাকার জন্য গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয়তাবাদী যুবদল সভাপতি সুলতান সালাউদ্দীন টুকু।
তিনি আরও বলেন, এই অবৈধ ফ্যাসিস্ট সরকার মানুষের ভোটের অধিকার হত্যা করেছে। এটা কি শুধু আমরা বলি, সাধারণ জনগণও বলে। শুধু তাই নয় আজ আন্তর্জাতিকভাবেও এটা স্বীকৃত যে, বাংলাদেশে গণতন্ত্র নেই।
১০ দফা বাস্তবায়নের দাবিতে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপি এ অবস্থান কর্মসূচি পালন করে।
এ সময় টুকু বলেন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে মানুষ দিশাহারা। এই অবৈধ সরকারের দুর্নীতির কারণে প্রত্যেকটি দ্রব্যমূল্যের দাম যেভাবে বেড়েছে। তাতে সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতা নাগালের বাহিরে চলে গেছে। আগে মানুষ তিনবেলা খেত এখন একবেলাও ঠিকমত খেতে পারছে না। অনেক মানুষ দুঃখ কষ্টের কথা মুখফুটে বলতেও পারে না। দুর্নীতিতে এই সরকার শীর্ষে। সরকারের এমপি-মন্ত্রী, আমলা ও দলীয় নেতা-কর্মীরা দুর্নীতি, লুটপাট ও অর্থপাচার করে দেশের অর্থনীতি ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে। জনগণ আওয়ামী দুঃশাসন ও লুটপাট থেকে বাঁচতে চায়।
তিনি আরও বলেন, যে দেশ রক্তের মাধ্যমে স্বাধীন হয়েছে, সে দেশের মানুষ না খেয়ে থাকতে পারে না। গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে আন্দোলন করে স্বৈরাচারী কর্তৃত্ববাদী এ সরকারের পতন ঘটানো হবে। আমরা মানুষের অধিকার আদায়ে মাঠে নেমেছি, নির্যাতন নিপীড়ন করে কোন সরকার টিকে থাকতে পারে নাই, এই সরকারও টিকে থাকতে পারবে না।
এ সময় তিনি দেশব্যাপী বিরোধীদলীয় নেতাকর্মী️দের বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও বেগম খালেদা জিয়াসহ সকল রাজবন্দীর মুক্তির দাবি জানান।
বিএনপির এই অবস্থান কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ।