শুষ্ক মৌসুমেও সুস্থ নখ

0

শীত বিদায় নিয়েছে। তবে প্রকৃতিতে এখনো শুষ্কতার আমেজ বিদ্যমান। শুষ্ক মৌসুমে ত্বকের চুলকানি, চুলের সমস্যা যেমন- খুশকি, চুল পড়া, আগা ফাটা ইত্যাদি সমস্যা দেখা দেয়। পাশাপাশি নখের বৃদ্ধি, ভঙ্গুরতা ও ফাটা ভাবের মতো সমস্যাও হয়।

এ বিষয়ে হেল্থশটস ডটকমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে ভারতীয় ‘অ্যাস্থেটিক ক্লিনিক্স’য়ের ত্বক বিশেষজ্ঞ এবং ত্বক সার্জন ডা. রিংকি কাপুর বলেন, ‘শীতের মতো শুষ্ক মৌসুমে নখ প্রাণবন্ত রাখা বিষয়টা স্বপ্নের মতো মনে হতে পারে। এই সময় নখ ফাটা, ভঙ্গুরতা, শুষ্কতা দেখা যায়। তাই দেখতে নির্জীব লাগে।’ তাছাড়া এ সময় অনেকেরই নখ ভাঙার প্রবণতা বৃদ্ধি পায়। শুষ্ক মৌসুমে নখ ভালো রাখার উপায় সম্পর্কে জানান ডা. কাপুর…
 
ময়েশ্চারাইজার : হাত, আঙুল এবং নখ আর্দ্র রাখার মাধ্যমে শীতের মৌসুমে নখকে সুরক্ষিত রাখা যায়। সমস্যা খুব বেশি হলে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ অনুযায়ী ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা যেতে পারে। এ ছাড়াও প্রাকৃতিক উপাদান হিসেবে নারিকেল বা কাঠবাদামের তেল কিউটিকেলে ওপর মালিশে নখের উপরিভাগের আর্দ্রতা বজায় রাখা যায়।

কিউটিকল তেল : আমাদের অনেকের কিউটিকল কাটা, পেছন দিকে ধাক্কানো অথবা টেনে তোলার বেশ চর্চা রয়েছে। এটি আসলে শত্রু নয় বরং নখ সুরক্ষিত রাখতে সহায়তা করে। ক্রিম বা তেল ব্যবহার করে নখকে মজবুত রাখতে সহায়তা করে। ডা. কাপুর বলেন, ‘চুলের মতো তেল নখের জন্যও উপকারী। কিউটিকল তেল নখ ও নখের চারপাশের ত্বক আর্দ্র রাখে। এতে করে নখের ভঙ্গুরতার হ্রাস পায়।’

বেইজ কোট ব্যবহার : বাইরের পরিবেশ থেকে নখ সুরক্ষিত রাখতে বেইজ কোট ব্যবহার করা আবশ্যক। এতে নখ দেখতে উজ্জ্বল লাগে। এ ছাড়াও বেইসকোট নখের আর্দ্রতা ধরে রাখে, মজবুত করে এবং ভঙ্গুরতা কমায়। তাই পরে নখে পলিশ বা পেইন্ট ব্যবহারের আগে বেইজ কোট ব্যবহার নিশ্চিত করে নেওয়া ভালো।

গ্লভস ব্যবহার : নখের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে, ঘরোয়া কাজ যেমন : বাগান করা, ঘর পরিষ্কার করা, থালা-বাসন ধোয়া অথবা কোনো রাসায়নিক উপাদান ব্যবহারের আগে অবশ্যই গ্লভস ব্যবহার করতে হবে। ফলে হাতকে একই সঙ্গে ময়লা থেকে রক্ষা পায় এবং নখের স্বাস্থ্য ভালো থাকে। 

তথ্যসূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here