অধিবেশন ডাকা নিয়ে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্টের পিছুটান

0

 সাধারণ নির্বাচনের ২১ দিনের মধ্যে পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের প্রথম অধিবেশন ডাকার সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে। তবে সংসদীয় বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে অধিবেশনের সারসংক্ষেপ পাঠালেও প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি এখনো অধিবেশন ডাকেননি।

গত ৮ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানে জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচনে কারাবন্দি সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের পিটিআই প্রথম, সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের পিএমএল-এন দ্বিতীয় ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারির পিপিপি তৃতীয় স্থান অর্জন করেছে। তবে সরকার গঠনের মতো একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা কোনো দলই পায়নি। ফলে জোট গড়ে কেন্দ্রীয় সরকার আসার বিষয়ে একটি সমঝোতা করেছে পিপিপি ও পিএমএল-এন।

পাকিস্তানের সংবিধানের ৯১ (২) ধারা অনুযায়ী, সাধারণ নির্বাচনের ২১ দিনের মধ্যে জাতীয় পরিষদের অধিবেশন আহ্বান করা বাধ্যতামূলক। হিসাব মতে আগামী ২৯ ফেব্রুয়ারি এই সময়সীমা শেষ হবে। মেয়াদের শেষ দিনই নতুন সরকারের প্রথম অধিবেশন ডাকার তোড়জোড় শুরু করেছে বর্তমান তত্বাবধায়ক সরকার।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের মিত্র আলভি বলেছেন, পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন ইসিপি এখানো জাতীয় পরিষদের কিছু সংরক্ষিত আসন বরাদ্দ দেয়নি। এ কারণে সংসদের নিম্নকক্ষ এখনো অসম্পূর্ণ। এসব আসন বরাদ্দ দেওয়া হলে তিনি সংসদ আহ্বান করবেন।

তবে তত্বাবধায়ক সরকার বলছে, প্রেসিডেন্ট আলবি সারসংক্ষেপে স্বাক্ষর না করলেও আগামী ২৯ ফেব্রুয়ারি জাতীয় পরিষদের প্রথম অধিবেশন বসবে। তিনি স্বাক্ষর না করলেও সংবিধানের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে ওই দিন সংসদ বসবে।

এক বিবৃতিতে পাকিস্তান মুসলিম লিগের (পিএমএল-এন) সিনিয়র নেতা ইসহাক দার বলেছেন, প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি সই না করলে জাতীয় পরিষদের স্পিকার ২৯ ফেব্রুয়ারি অধিবেশন আহ্বান করতে পারবেন।

জাতীয় পরিষদের প্রথম অধিবেশনে বর্তমান স্পিকার নব-নির্বাচিত এমপিদের শপথবাক্য পাঠ করাবেন। এরপর বর্তমান সংসদের স্পিকার, ডেপুটি স্পিকার ও প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here