জুরি হওয়ার বিষয়টি অনেক সম্মানের

0

এই সময়ে দুই বাংলার জনপ্রিয় মুখ আজমেরী হক বাঁধন। ‘রেহানা মরিয়ম নূর’ দিয়ে বিশ্বের দরবারে নিজেকে নিয়ে গেছেন অনন্য উচ্চতায়। সিনেমা-ওয়েব কনটেন্টসহ বেশকিছু দর্শকনন্দিত কাজ উপহার দিয়েছেন দর্শকদের। হিন্দি সিনেমাতে কাজ করে হয়েছেন প্রশংসিত।  তার সঙ্গে সমসাময়িক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন- পান্থ আফজাল

এবার বেঙ্গালুরু আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের জুরিপ্রধান হিসেবে দেখা যাবে। কেমন বোধ হচ্ছে?

এর আগে স্বীকৃতি হিসেবে ‘কুলেস্ট হিরোইন’ এর তালিকায় নামও উঠেছে…

যে কোনো স্বীকৃতিই আনন্দের। কাজের গতি বাড়িয়ে দেয়। ক্যারিয়ারের সাফল্যে এমন নতুন নতুন পালক যুক্ত হওয়ায় ভালোই লাগে।

বৈচিত্র্যময় চরিত্রে দেখছে দর্শক…

এটা ভালো দিক। অনেকরকম চরিত্রে মানুষ আমাকে বা অন্যকে চিন্তা করছে; কিন্তু আমরা অনেক কিছু আসলে স্টেরিও টাইপ চিন্তা থেকে বের হতে পারিনি এখনো। সেটির এক ধরনের ক্রাইসিস আছে স্ক্রিপ্টে কিংবা গল্পে। সেটা একটু পীড়া দেয়। এত বেছে কাজ করা কঠিন। 

নতুনভাবে ফিরে আসা, সাফল্যের দেখা পাওয়া। এ সাফল্যের কারণ কী?

এটা খুবই ইন্টারেস্টিং যে, আমি কিন্তু রেহানা মারিয়াম নূরের কাছে যাই নাই, অক্টোপাসের কাছে যাই নাই কিংবা মুসকান বা অন্যান্য চরিত্রের কাছে, সেগুলোই কিন্তু আমার কাছে এসেছে। এটা একটা অস্বাভাবিক ঘটনা যে, সাদের টিম আমাকে নিয়ে কাজ করার আগ্রহ দেখিয়েছে। আমি তখন কিন্তু নিজেকে বুঝিয়েছিলাম, এটা আমার লাস্ট অপশন। এটা আমাকে করতে হবে এবং শতভাগ ডেডিকেশন দিয়ে। এরপর তো একটার পর একটা কাজ করেছি, এখনো করে যাচ্ছি।

সেই বাঁধন কি বর্তমানে কিছুটা হলেও পাল্টেছে?

আমার তো কিছুই চেঞ্জ হয় নাই। যে বাঁধন ছিলাম সেই বাঁধনই আছি। আমার কাছে আসলে যে কোনো কাজের গল্প ও চরিত্রটা পছন্দ হতে হবে। আর ডিরেক্টরকে আমাকে বিশ্বাস করতে হবে। অনেকে আছেন অসাধারণ অভিনেতা কিন্তু কোনো ইফোর্ট দিল না-তাহলে ভালো কাজ সম্ভব নয়। কো-আটিস্টদেরও ভালো সাপোর্ট দিতে হয়।

মিডিয়ার মানুষ একজন আরেকজনকে পছন্দ করে না। আপনার এ বিষয়ে ধারণা কী?

আমাকে বেশির ভাগ মানুষই পছন্দ করেন না, এটা শুধু মিডিয়া নয়, মিডিয়ার বাইরেও। আবার যারা পছন্দ করেন তারা একেবারে মন থেকে করেন। তো ঐটা আমাকে অনেক কিছু দিয়েছে। আমি এটাই ফিল করতে চাই। কে পছন্দ করল আর কে করল না, সেটা নিয়ে ভাবতে চাই না।

একটা ধারণা রয়েছে, ফিমেল লিডের কাজ চলে না। সত্যি?

এ কথাটা আসলে শুনতে চাই না। আমি বিশ্বাস করি এ ধারণার পরিবর্তন হবে। আমরা কাজ দিয়েই এ চিন্তার পরিবর্তন করতে পারব। দর্শককেও নতুন কিছু দিতে পারব। এখন শুধু অপেক্ষা।

বাঁধন এত সুন্দর কেন?

তাই নাকি? (মৃদু হেসে) আমি যেরকম সেরকম নিজেকে মেনে নিতে পেরেছি বলেই হয়তো। আমার মনে হয় এটা আমার সবচেয়ে বড় শক্তি। তো এটা হয়তো ফেইসে রিফ্লেক্ট করে। এ ছাড়া আর কিছুই নয়।

বাঁধনের জীবনোপলব্ধি?

ভালো মানুষ হতে চাই। এ প্রক্রিয়াটা চলমান থাকবে আমৃত্যু। আর আমি সম্পূর্ণ স্বাধীনতা ও অধিকার বুঝে পেতে চাই। এই তো সব। জীবন সুন্দর ও রঙিন।

 

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here