বিরল দর্শন লালঘাড় পেঙ্গা

0

আমাদের দেশের আবাসিক পাখি লালঘাড় পেঙ্গা। কিন্তু আবাসিক হলেও এদের দেখা মেলা ভার। সচরাচর এদের দেখা যায় না। দেশে চট্টগ্রাম ও সিলেটের বনাঞ্চলে এদের দেখা যায়। তবে সংখ্যায় এরা কম। অঞ্চল ভেদে লালঘাড়ওয়ালা পেঙ্গা নামে পরিচিত। আর ভারতের পশ্চিমবঙ্গে এদের পরিচিতি পাবদুয়া বা হাট-গুড়গুড়ি নামে। বাংলাদেশ ছাড়াও দক্ষিণ, পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন দেশে এ পাখি দেখা যায়। ইংরেজি নাম Rufous-necked Laughingthrush. বৈজ্ঞানিক নাম Garrulax Ruficollis. সম্প্রতি মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের একটি চা বাগান থেকে লালঘাড় পেঙ্গার ছবি তুলেছেন শৌখিন ফটোগ্রাফার খোকন থৌনাউজম। মিষ্টি স্বরে গান গাওয়া চঞ্চল এই পাখির আকার মাঝারি। দেহের দৈর্ঘ্য ২২ থেকে ২৩ সন্টিমিটার। ওজন প্রায় ৬৫ গ্রাম। লেজসহ পিঠ জলপাই-বাদামি। মাথা কালচে-ধূসর। কপাল, কান, মুখমণ্ডল, থুতনি ও গলার নিচ থেকে বুক পর্যন্ত কালো। ঘাড়ের দুই পাশে লালচে বা মরচে-কমলা পট্টি রয়েছে। তলপেট ও লেজের তলা ফ্যাকাশে কমলা। পেটের বাকি অংশ ধূসর-বাদামি। লেজ কালচে। চোখ লাল। চঞ্চু, পা, আঙুল ও নখ কালচে-ধূসর। স্ত্রী ও পুরুষের পালকের রঙে ভিন্নতা নেই। তবে অপ্রাপ্তবয়স্ক পাখিগুলো অপেক্ষাকৃত অনুজ্জ্বল। তাদের মাথার পালক বাদামি থাকে। মার্চ থেকে আগস্ট এদের প্রজননকাল। এ সময় মাটি থেকে প্রায় ৬ মিটার উঁচু ঝোপঝাড়, গাছগাছালি বা বাঁশঝাড়ে শিকড়-বাকল, পাতা ও শেওলা ইত্যাদি দিয়ে বাসা বাঁধে। ডিম পাড়ে তিন থেকে চারটি। ডিমের রং ফিকে সাদা। ফটোগ্রাফার খোকন থৌনাউজম বলেন, এদের দেখা পাওয়া বিরল। কারণ সংখ্যায় এরা কম। এ ছাড়া এরা দিনের বেলা বের হয় না। ভোর ও শেষ বিকালে এরা ঝোপ থেকে বের হয়। চট্টগ্রাম ও সিলেটের বনাঞ্চল ও চা বাগানে এদের দেখা যায়। এদের টিকিয়ে রাখতে হলে বন ও চা বাগান সংলগ্ন ঝোপঝাড়, পাহার, টিলা টিকিয়ে রাখতে হবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here