প্রথম দেখায় মনে হবে কোনো ফুলবাগান। সবুজের মাঝে ফুটে আছে গোল গোল ফুল। কোনোটি হলুদ, কোনোটি বেগুনি। কাছে গেলে ভুল ভাঙবে। এগুলো রঙিন ফুলকপি।
কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার শিবপুর গ্রামের মাঠে এ দৃশ্য দেখা যায়। জেলার ১৭ উপজেলায় জনপ্রিয় হচ্ছে রঙিন ফুলকপি চাষ। চাহিদা বেশি ও স্বাদ ভালো হওয়ায় ভালো দাম পাচ্ছে কৃষক। আগামীতে তারা আরও বেশি জমিতে চাষ করবে বলে জানিয়েছে।
শিবপুর গ্রামের কৃষক খলিলুর রহমান বলেন, ‘দেড় যুগ ধরে সবজি চাষ করি। এবার প্রথম ১৫ শতক জমিতে রঙিন ফুলকপি চাষ করেছি। প্রথমে মানুষ হাসাহাসি করেছে, ভালো ফলন হবে না বলে মন্তব্য করেছে। ফলন দেখে এখন অনেকে চাষের আগ্রহ প্রকাশ করছে। প্রতিটি ফুলকপি বড়গুলো ৭০-৮০, ছোটগুলো ৪০-৫০ টাকা দরে বিক্রি করছি। বৃষ্টিতে কিছু সমস্যা হয়েছে, না হলে আরও ভালো ফলন পেতাম।’
স্থানীয় উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘এ উপজেলায় শিবপুরে প্রথম রঙিন ফুলকপির চাষ হয়েছে। ফুলকপির চাষ দেখে অন্য কৃষকও আগ্রহ প্রকাশ করছে। সাধারণ ফুলকপির চেয়ে এর দাম ভালো পাচ্ছে কৃষক।’
উপজেলা কৃষি অফিসার বানিন রায় বলেন, ‘আমরা কয়েকজন কৃষককে রঙিন ফুলকপির বীজ দিয়েছি। তার মধ্যে শিবপুরের মাঠে ভালো ফলন হয়েছে। কৃষকের মধ্যে রঙিন ফুলকপি চাষের আগ্রহ বাড়ছে।’
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর, কুমিল্লার উপপরিচালক আইউব মাহমুদ বলেন, ‘সাদা ফুলকপির চেয়ে রঙিন ফুলকপিতে পুষ্টিগুণ বেশি। দেখতেও সুন্দর। সাধারণ ফুলকপির মতো একই পদ্ধতিতে চাষ করা যায়। খরচ ও পরিশ্রম একই।’