যুদ্ধক্ষেত্রের অবস্থা কঠিন, বিদেশি সাহায্য চাই : জেলেনস্কি

0

পূর্ব ইউক্রেনের যুদ্ধক্ষেত্র পরিদর্শন করার পর ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি জানান, দ্রুত বিদেশি সাহায্য প্রয়োজন।

জেলেনস্কি স্বীকার করে নিয়েছেন, পরিস্থিতি কঠিন হয়ে গেছে। পশ্চিমা সামরিক সাহায্য না পেলে বা দেরি হলে অবস্থা খুবই সংকটজনক হয়ে যাবে।

এর মধ্যে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ছয় হাজার কোটি ডলারের প্যাকেজ হাউস অফ রিপ্রেজেন্টেটিভসে আটকে দিয়েছে রিপাবলিকানরা।

উত্তরপূর্ব খারকিভে সেনাদের সঙ্গে দেখা করার পর জেলেনস্কি বলেছেন, যুদ্ধক্ষেত্রের অনেক অংশে পরিস্থিতি খুবই কঠিন জায়গায় চলে গেছে।

তিনি বলেছেন, ইউক্রেনের কাছে সামরিক সাহায্য আসতে দেরি হচ্ছে। তার সুযোগ ও সুবিধা রাশিয়া পাচ্ছে। ইউক্রেনের কাছে গোলাবরুদ, এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম, দূরপাল্লার অস্ত্র কমে গেছে।

দক্ষিণ দিকে ঝাপোরিজ্ঝিয়াতে রাশিয়ার সেনা সমানে গুলি চালাচ্ছে। ইউক্রেনের সিনিয়র কমান্ডার তারনাভস্কি বলেছেন, রোবোটাইন গ্রামে রাশিয়ার আক্রমণ তীব্র হয়েছে। ২০২৩ সালে এই গ্রাম থেকে রাশিয়ার সেনাকে সরিয়ে দিতে পেরেছিল ইউক্রেনের সেনা।

তারনাভস্কির দাবি, রাশিয়ার সেনার আক্রমণ প্রতিহত করা সম্ভব হয়েছে।

ইউক্রেনকে সাহায্য করার জন্য ছয় হাজার কোটি ডলারের প্যাকেজ মার্কিন সেনেটে অনুমোদিত হয়েছে। কিন্তু হাউস অফ রিপ্রেজেন্টেটিভসের স্পিকার মাইক জনসন বলেছেন, তিনি এই প্যাকেজ বিবেচনার জন্য হাউসে পেশ করবেন না।

সোমবার বাইডেন বলেছেন, তিনি জনসনের সঙ্গে আলোচনা করতে চান। তিনি চান, বিলটি হাউসে পাস হোক।

বাইডেন বলেছেন, ‘স্পিকারের যদি কিছু বলার থাকে তো আমি নিশ্চিতভাবে তার সঙ্গে দেখা করে তা শুনব।’

আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি কংগ্রেসের অধিবেশন আবার বসবে। ১ মার্চের আগে বাজেট পাস করতে হবে।

বাইডেন সংবাদিকদের বলেছেন, ‘ইউক্রেনের জন্য প্যাকেজ আটকে দিয়ে রিপাবলিকানরা বড় ভুল করছে। এটা খুবই চিন্তার বিষয়। আমি এর আগে কখনো এরকম ঘটনা ঘটতে দেখিনি।’

সূত্র : ডয়চে ভেলে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here