ইইউভুক্ত ২৭ দেশের ২৬টিই গাজায় ‘মানবিক যুদ্ধবিরতির’ আহ্বান জানিয়েছে

0

ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত (ইইউ) ২৭ দেশের মধ্যে ২৬টিই ফিলিস্তিনের গাজায় চলমান যুদ্ধে ‘অবিলম্বে মানবিক বিরতির’ আহ্বান জানিয়েছে। 

সোমবার ইইউ পররাষ্ট্র নীতি বিষয়ক প্রধান জোসেপ বোরেল এ তথ্য জানিয়েছেন।

বোরেল ভিন্নমত পোষণকারী ইইউ দেশটির নাম প্রকাশ করেননি। তবে, হাঙ্গেরি কয়েকদিন আগে একই ধরনের একটি বিবৃতির বিরোধিতা করেছিল।

গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনে বাস্তুচ্যুত হওয়া প্রায় ১৫ লাখ ফিলিস্তিনি রাফা শহরে আশ্রয় নিয়েছে। শহরটিতে আক্রমণের জন্য ইসরায়েলের পরিকল্পনা প্রকাশের পর আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় সংযম বা অপারেশন বাতিল করার আহ্বান জানিয়েছে।

বোরেল বলেন, ইইউ সদস্য দেশগুলো গাজায় ‘অবিলম্বে একটি মানবিক বিরতির’ আহ্বান জানিয়েছে, যা জিম্মিদের নিঃশর্ত মুক্তি ও মানবিক সহায়তা প্রদানের জন্য একটি টেকসই যুদ্ধবিরতির দিকে পরিচালিত করবে। একইসঙ্গে ইসরায়েল সরকারকে ‘রাফাতে সামরিক পদক্ষেপ না নেওয়ার জন্য’ আহ্বান জানিয়েছে।

তিনি বলেন, রাফা শহরে অভিযান পরিচালনার অর্থ হবে ইতোমধ্যে একটি বিপর্যয়কর মানবিক পরিস্থিতির অবনতি ঘটানো এবং জরুরি ভিত্তিতে মৌলিক পরিষেবা ও মানবিক সহায়তার ব্যবস্থা রোধ করা।

বোরেল আরও জানান, ইউরোপীয় ইউনিয়ন পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনি বেসামরিকদের ওপর নির্বিচারে আক্রমণকারী চরমপন্থী ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারীদের বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার দিকে নজর দিচ্ছে।

গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের অভ্যন্তরে নজিরবিহীন হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসের যোদ্ধারা। ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের দাবি, ওই হামলায় প্রায় ১২০০ নিহত ও আড়াই শতাধিক ইসরায়েলিকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে গেছে হামাস যোদ্ধারা। এর জবাবে ওই দিন থেকেই গাজায় বিমান হামলা ও পরে স্থল অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। চার মাস পেরিয়ে গেলেও যুদ্ধ এখনও অব্যাহত।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, ইসরায়েলের নির্বিচার হামলায় গাজা উপত্যকায় এখন পর্যন্ত ২৯ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। আর আহত হয়েছে ৬৯ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি।

জাতিসংঘের মতে, গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনে খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি এবং ওষুধের তীব্র সংকটের মধ্যে ভূখণ্ডের ৮৫ শতাংশ বাসিন্দা অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত হয়েছে। সেই সঙ্গে অঞ্চলটির ৬০ শতাংশ অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে।  সূত্র: আনাদোলু এজেন্সি

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here