২০২৩ সাল জুড়ে ব্যবহারকারীদের অ্যাকাউন্ট ও তথ্যের সুরক্ষা নিয়ে কাজ করেছে ইনস্ট্যান্ট মেসেজিং অ্যাপ ইমো। এ সময় একদিকে অ্যাকাউন্ট হ্যাকিং রোধে এনেছে বিভিন্ন ফিচার, অন্যদিকে হ্যাক হয়ে যাওয়া অ্যাকাউন্ট উদ্ধারেও প্রতিষ্ঠানটি ছিল তৎপর।
সম্প্রতি ইমো সূত্রে জানা যায় যে, গতবছর জুড়ে মোট ৪,২৬৭টি অ্যাকাউন্ট হ্যাকিংয়ের অভিযোগ পেয়েছে ইমো। পরে অনুসন্ধান করে জানা যায়, এর মধ্যে সত্যিকারের হ্যাকিংয়ের ঘটনা ছিল ৪২৭টি। অভিযোগ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই এই অ্যাকাউন্টগুলো হয় বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে, নয়তো পুনরুদ্ধার করে অ্যাকাউন্ট মালিককে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
ইমো সূত্র জানায়, ২০২৩ সালে বাংলাদেশিরা ইমো প্ল্যাটফর্ম-এ ২৪৭.৯ বিলিয়ন বার যোগাযোগ করেছে। অর্থাৎ প্রতি ব্যবহারকারী বছরব্যাপী ৭৩০ বার মেসেজ বা অডিও-ভিডিও কল করেছে। বাংলাদেশ থেকে বছরব্যাপী ৯১.৬ বিলিয়ন অডিও-ভিডিও কল করা হয়েছে। এর মধ্যে ৩৫.৮ বিলিয়নই ছিল আন্তর্জাতিক কল। ইমো’র রিপোর্ট অনুযায়ী আন্তর্জাতিক কলগুলোর মধ্যে এ বছর সবচেয়ে বেশি কল করা হয়েছে সৌদি আরব, ইউএই, ওমান, মালোয়েশিয়া ও কাতারে।
বিশ্বব্যাপী এ মুহূর্তে ইমোর ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রায় ২০০ মিলিয়ন। এর মধ্যে প্রায় ১৭০টি দেশের ৬২ ভাষাভাষি মানুষ এই প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করছে।