শুষ্ক ত্বকের জরুরি দাওয়াই

0

শুষ্ক ত্বক মলিন দেখায়। ফলে ত্বকে দ্রুত বলিরেখা দেখা দেয়। তাই ত্বকের সুস্থতায় আর্দ্রতা এক কথায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নিউইয়র্কের ত্বক বিশেষজ্ঞ কার্মেন ক্যাস্টিলা বলেন, শুষ্কতা ত্বকের সুরক্ষা স্তরের দুর্বলতার সংকেত দেয়। ফলে ত্বকে জ্বলুনি ও সংবেদনশীলতা দেখা দেয়। এ জন্য ত্বক বিশেষজ্ঞরা সাধারণ কিছু কৌশল অবলম্বনের পরামর্শ দিয়ে থাকেন। রিয়েলসিম্পল ডটকম সেসব তথ্য প্রকাশ করেছে।

স্কিন ফ্লাডিং : সম্প্রতি এর প্রচলন দেখা দিলেও অনেক আগে থেকেই এই ধারণার প্রচলন ছিল। ডা. ক্যাস্টিলা বলেন, ভেজা ত্বকে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা হলে এর আর্দ্রতা বজায় থাকে। অর্থাৎ ভেজা অবস্থাতেই ত্বকে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে।

সুরক্ষা কবচ ময়েশ্চারাইজার : ত্বকে আর্দ্রতা রক্ষাকারী উপাদান হিসেবে নানান প্রসাধনী ব্যবহারের ক্ষেত্রে তা হালকা থেকে ভারী এমন অনুক্রমে ব্যবহার করতে হবে। লস অ্যাঞ্জেলেসের মেডিকেল এস্থেটিশিয়ান ক্যান্ডেস ম্যারিনো, রূপচর্চার ধাপগুলোর মধ্যে স্তরে স্তরে আর্দ্রতা রক্ষাকারী মিস্ট (ময়েশ্চারাইজার) ব্যবহারের পরামর্শ দেন।

স্কিন স্লাগিং : ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে পেট্রোলিয়াম জেলির প্রলেপ লাগিয়ে রাখাই ‘স্লাগিং’। এতে থাকা উপাদান ত্বকে সুরক্ষার স্তর হিসেবে কাজ করে। রাতে ত্বক পরিচর্যা শেষে, সর্বশেষ ধাপ হিসেবে পেট্রোলিয়াম জেলি মেখে ৩০ মিনিট অপেক্ষা করে ঘুমাতে যেতে হবে।

সপ্তাহে দুবার এক্সফলিয়েশন : ত্বকের আর্দ্রতায় এক্সফলিয়েশন গুরুত্বপূর্ণ। ম্যারিনো বলেন, এক্সফলিয়েট না করলে ত্বকে মৃত কোষ জমে থাকে। ফলে সেরাম ও ক্রিম ঠিকমতো কাজ করতে পারে না। এতে প্রসাধনীর অপচয় হয়। কেননা মৃত কোষ প্রসাধনী শোষণ করতে পারে না। তিনি সপ্তাহে দুইবার এক্সফলিয়েশনের পরামর্শ দেন।

সর্বোপরি সাত থেকে আট ঘণ্টা ঘুম প্রয়োজন। ডা. ক্যাস্টিলা বলেন, ঘুমের মধ্যে দেহে রক্ত সঞ্চালন বাড়ে। ফলে ত্বক পুনর্গঠিত হয়।

তথ্যসূত্র : স্টাইলক্রেজ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here