নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে রাজশাহীর বাঘায় গিয়ে চালক আবু বক্কর সিদ্দিক (৫৪) এর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার শিবপুর গ্রামের মহসিন আলীর ছেলে। গতকাল বিকেলে বাঘা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পর চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
জানা যায়, প্রায় ২৬ বছর ধরে তিনি নাটোর সদর আধুনিক হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্সের চালক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
নাটোর সদর হাসপাতাল, বাঘা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও বাঘা থানা সূত্রে জানা যায়, আবু বক্কর সিদ্দিক বৃহস্পতিবার অ্যাম্বুলেন্সে একজন রোগীকে নিয়ে নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতাল থেকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যান। পরে তিনি আর ফিরে আসেননি। বেলা দুইটার দিকে তিনি বাঘা উপজেলার বাজুবাঘা ইউনিয়ন যুব মহিলা লীগের সভাপতি শরীফা খাতুনের বাড়িতে যান। এর পরপরই তিনি সেখানে অসুস্থ হয়ে পড়েন। শরীফা খাতুন তাকে বাঘা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক রেশমা খাতুন তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
বাঘা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান জানান, অ্যাম্বুলেন্সের চালকের মৃত্যুর খবর পেয়ে নাটোর সিভিল সার্জনের একজন প্রতিনিধি এবং মারা যাওয়া ব্যক্তির ছেলে শাওন ও স্ত্রীসহ পরিবারের লোকজন বাঘায় আসেন। তাদের কোনো অভিযোগ নেই বলে লিখিত দিয়ে লাশ নিয়ে গেছেন। ওই চালক নাটোর থেকে রাজশাহীতে রোগী পৌঁছে দেওয়ার পর সরকারি অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে বেআইনিভাবে বাঘায় বেড়াতে এসেছিলেন। সেখানে এসে অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে মারা যান।
বাঘা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম বলেন, বাঘা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা একজন চালকের মৃত্যুর বিষয়টি ফোন করে থানাকে অবহিত করেন। তবে কেউ কোনো অভিযোগ না করায় নিহত ব্যক্তির স্বজনেরা তার মরদেহ নিয়ে গেছেন।