পর্যটকদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছে কুয়াকাটার সবকয়টি পর্যটন স্পট। দীর্ঘ ১৮ কিলোমিটার সৈকতে যেনো তিল ধারণের ঠাই নেই। বৃহস্পতিবার রাত থেকে শত শত বাস, মিনিবাস এবং প্রাইভেটকারে এসব পর্যটক আসতে শুরু করে। আবাসিক হোটেল-মোটেল এবং রিসোর্টগুলোর সকল রুম বুকিং হয়ে গেছে।
গঙ্গামতি, ফাতরাবন, সৈকত সংলগ্ন নারিকেল বাগান, তাল বাগান, ঝাউবন এবং জাতীয় উদ্যানসহ বিভিন্ন পর্যটন স্পট এখন পর্যটকদের হৈ হুল্লোরে প্রকম্পিত হয়ে উঠেছে। হালকা হিমেল বাতাসে পর্যটকরা সৈকতের বালিয়াড়িতে নোনা জলে গা ভাসিয়ে আনন্দ উন্মাদনায় মেতেছেন। অনেকে বেঞ্চিতে বসে উপভোগ করছে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য। কেউবা আবার ঘুরছেন ঘোড়ায় কিংবা ওয়াটার বাইকে।
পর্যটকরা জানান, বেশ আনন্দ উল্লাস করেছি। সবক’টি পর্যটন স্পট ঘুরে দেখেছি। ভালই লেগেছে। তবে এখানকার হোটেল ভাড়াটা একটু বেশি। এছাড়া খাবার রেঁস্তোরাগুলোর খাবারের মান তেমন ভালো ছিল না বলে পর্যটকদের আভিযোগ।
পর্যটক মো.ফেরদৌস বলেন, একটি বে সরকারি প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে কুয়াকাটায় পিকনিকে এসেছি। আগে কুয়াকাটায় আসতে একাধিক ফেরি পারাপারের বিড়ম্বনার ছিলো, এখন আর সেই দুর্ভোগ নাই। মাত্র সাড়ে ৫ ঘণ্টায় ঢাকা থেকে কুয়াকাটায় এসে পৌঁছেছি।
পর্যটক দম্পতি সাহেদ এবং রোজিনা বেগম বলেন, এখানে এসে সূর্যাস্তের মনোরম দৃশ্য উপভোগ করলাম। শুনেছি কুয়াকাটার ফিশ ফ্রাই খুবই মজা। তাই রাতে পরিবারের সকল সদস্য ফ্রাই মার্কেটে গিয়ে ফিশ ফ্রাই খাবো। এছাড়া শনিবার সকালে গভীর বঙ্গোপসাগরে জেগে ওঠা চর বিজয়ে ভ্রমণে যাবো। আমাদের মতো হাজার হাজার পর্যটক স্পিড বোট এবং ট্রলার যোগে সেখানে যাচ্ছে।
কুয়াকাটা হোটেল মোটেল ওনার্স এ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোতালেব শরীফ বলেন, রেকর্ড সংখ্যক পর্যটকের আগমন ঘটেছে। কুয়াকাটার সকল হোটেল মোটেল ও রিসোর্ট এর রুম বুকিং হয়ে আছে। একই সঙ্গে দেড় শাতাধিক খাবার হোটেল ও রেঁস্তোরাগুলোতেও বেচা বিক্রি বেড়েছে। এক কথায় কুয়াকাটা এখন পর্যটকের আগমনে বাণিজ্যিক ভাবে গতিশীল হয়েছে।
কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশ কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ জানান, পর্যটকদের নিরাপত্তা ও সেবা নিশ্চিতে ট্যুরিস্ট পুলিশের বহু দল পোশাক এবং সাদা পোশাকে দায়িত্ব পালন করছে। কোথাও কোন অপ্রীতিকর ঘটনা এখন পর্যন্ত ঘটেনি। এছাড়া গুরুত্বপূর্ণ স্পট গুলো সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে সার্বক্ষণিক নজরদারিতে রয়েছে।