নরসিংদীর মনোহরদীতে ছেলে ছাগল চুরি করেছে এমন অভিযোগে বাবাকে আটকে রেখে নির্যাতনের ঘটনায় চেয়ারম্যানসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার নরসিংদী সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে লিখিত অভিযোগ দেওয়া হলে বিচারক শারমিন সুলতানা পিংকি অভিযোগটি আমলে নিয়ে পিবিআইকে তদন্তের আদেশ দেন।
মামলার আসামিরা হলেন-খিদিরপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান কাউছার রশিদ বিপ্লব, একই ইউনিয়নের ৫ নম্বর ইউপি সদস্য দুলাল মিয়া (৪৫), চর সাগরদী গ্রামের সিদ্দিক মিয়ার ছেলে সাদ্দাম হোসেন (২২), আবদুল মান্নানের ছেলে মামুন (২৭), দানিছ মিয়ার ছেলে সোহাগ (২৫) ও ফজলু মিয়া (৪৫)। এছাড়া আরও ৪-৫ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।
পরে সেখানে একটি কক্ষে আঙ্গুর মিয়াকে দিনভর আটকে রেখে নির্যাতন করা হয়। তাকে ছাড়িয়ে নিতে পরিবারের লোকজন ইউপি চেয়ারম্যান কাউছার রশিদ বিপ্লবের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তাদের কাছে এক লাখ টাকা দাবি করেন চেয়ারম্যান। টাকা দিতে রাজি না হওয়ায় তাদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর ভয় দেখানো হয়। পরে রাত ৩টার দিকে জোড় করে সাদা কাগজে সই নিয়ে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে আঙ্গুর মিয়া মনোহরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন।
বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. আল-আমিন বলেন, থানায় মামলা না নেওয়ায় তারা আদালতে মামলা করেছে। আদালত ফৌজদারী কার্যবিধি ২০০ ধারায় বাদীর জবানবন্দী গ্রহণ করার পরে বিষয়টি তদন্তের জন্য পিবিআইকে নির্দেশ প্রদান করেছে।
মনোহরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ফরিদ উদ্দিন বলেন, আমি তাদের সাথে হাসপাতালে দেখা করে থানায় অভিযোগ দিতে বলেছিলাম। কিন্তু তারা থানায় অভিযোগ না দিয়ে আদালতে মামলা দায়ের করেছে। এখন এ বিষয়ে আদালতের নির্দেশনা সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।