অন্দরমহল, শুধু থাকার স্থান নয়, প্রশান্তির স্থানও। তাই তো বিশেষজ্ঞরা বরাবরই বাড়ির অন্দর বা ঘরকে মনোরম করে সাজানোর তাগিদ দিয়ে থাকেন। কেননা, এটি যদি আপনার মনের রাঙানো ক্যানভাস হয়, তবে আপনার সুখ-শান্তি বিরাজ করবে সহজেই। এ জন্য যে পুরো অন্দরের আদল বদলাতে হবে এমনটাও নয়। ছোট, বড়, মাঝারি উপকরণ দিয়েও সাজিয়ে নিতে পারবেন সাধের অন্দর বা ঘর। আপনার সাদামাটা ঘরটিও হয়ে উঠবে জমকালো। সেইসঙ্গে মিলবে আপনার রুচিশীলতার পরিচয়। চলুন জেনে নিই কিছু উপায়-
যেভাবে সাজাবেন ঘর
ঘর সাজাতে গাছের বিকল্প নেই। খরচও কম আবার চোখের শান্তি মেলে সবুজে। একটি কর্নারে মাটির পটারিতে ছোট-বড় বিভিন্ন আকৃতির ইনডোর প্লান্ট রাখতে পারেন। গাছের ফাঁকে ফাঁকে মাটির শোপিস দিন। একটা মাটির চাড়িতে পানি দিয়ে তাতে কিছু কচুরিপানা আর একুরিয়ামের মাছ ছেড়ে দিলে পুরো পরিবেশই অন্যরকম লাগবে। এখন শুধু দরকার একটি স্পটলাইট। ঘরটা নিজের কাছেই সুদূর অচেনা আর মোহনীয় লাগবে। কম খরচে ঘর সাজাতে দেশীয় উপকরণের জুড়ি নেই। এ ক্ষেত্রে ঘর সাজানোর খুব ভালো থিম হতে পারে বাঁশের সোফা। দামে সাশ্রয়ী এবং পাওয়া যায় সহজে। ইচ্ছামতো ডিজাইন দিয়ে তৈরি করে নিতে পারেন বেতের ফার্নিচারও। এগুলো কম দামে পেয়ে যাবেন। সোফার অপর পাশে যদি জায়গা থেকে যায় একটি শীতল পাটি পেতে বসার জায়গা করতে পারেন। পাটির ওপর একটি নকশিকাঁথা বিছিয়ে দিলেন, তাতে কয়েকটি কুশন থাকতে পারে। ঘরের খালি দেয়ালে বাঁশের বেড়া ফ্রেম করে ঝুলিয়ে দিন। তাতে পছন্দের রং করে বাঁশের বাঁশি, একতারা কিংবা মাথাল সাজান বাঁশের বেড়ার সঙ্গে। কর্নারে একটি শেলফ করে তাতে দেশীয় উপকরণের শোপিস রাখুন।
জানালার পর্দা, সোফা ও কুশন কভারে উজ্জ্বল রং বেছে নিন। সুতি বা খাদি কাপড়ে ব্লক করে নিতে পারেন। বাঁশের ল্যাম্পশেড আর মাটির পটারিতে কয়েকটি ইনডোর প্লান্ট দিয়ে একটা কর্নার সাজাতে পারেন। হয়ে গেল কম খরচে বসার ঘরের রুচিশীল সাজ। দেয়াল টবে কিছু লতানো মানিপ্লান্ট জাতীয় গাছ ঝুলিয়ে দিলে ঘরটি আরও বেশি রূপবতী লাগবে। স্বল্প খরচের দেয়াল শোপিসও একটি ঘরকে দিতে পারে সাধ্যের মধ্যে মোহনীয় রূপ।
লেখা : ফ্রাইডে ডেস্ক