বড়দিনের মতো দুই ঈদের দিনকে নিউইয়র্ক স্টেটে সাধারণ ছুটি ঘোষণার দাবিতে চলমান আন্দোলনের সমর্থনে স্টেট সিনেট ও অ্যাসেম্বলীর ৩৮ জন সদস্য প্রস্তাবিত বিলে স্বাক্ষর করেছেন।
৫ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর আলবেনীর পার্লামেন্ট ভবনে এ ব্যাপারে ‘ঈদ ফর নিউইয়র্ক’ স্লোগানে এক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে উপস্থিত জনপ্রতিনিধিগণের উদ্দেশ্যে দাবির সমর্থনে বক্তব্য দেন ‘সাউথ এশিয়ান ফান্ড ফর এডুকেশন, স্কলারশিপ অ্যান্ড ট্রেনিং’ তথা স্যাফেস্ট’র যুব বিষয়ক চেয়ারপার্সন সোহানা ইয়াসমিন। তিনি বলেন, এই স্টেটে ১০ লক্ষাধিক মুসলিম রয়েছি। আমরা সকলেই জানি কোনটি খ্রিস্টমাস ডে। অথচ আপনারা কেউই জানেন না কোনটি ঈদের দিন।
তিনি উল্লেখ করেন, আমরা মুসলমান হিসেবে প্রতিটি দিন, ক্ষণ একটি বাজে অভিজ্ঞতায় অতিবাহিত করছি। আমাদের পোশাক নিয়েও বিব্রত হতে হচ্ছে চলতি পথে, ঘরের বাইরে, শ্রেণীকক্ষেও। এমন অবস্থায় ২০১৫ সালে কিছুটা হলেও স্বস্তি এসেছে নিউইয়র্ক সিটির পাবলিক স্কুলে ঈদের দিনকে ছুটি ঘোষণার বিল পাশ হওয়ায় মধ্য দিয়ে। সে আলোকে আমি সারা নিউইয়র্কে দুই ঈদের দিনকে ছুটি ঘোষণার প্রত্যাশা করছি আলবেনীর কাছে। এ বক্তব্যের পর সকলেই ‘ঈদ ফর নিউইয়র্ক’ স্লোগানে গোটা পার্লামেন্ট ভবনকে প্রকম্পিত করেন। অংশ নেন প্রস্তাবিত বিলে স্বাক্ষরকারিরাও।
এই দাবির পক্ষে সোচ্চার সংগঠনগুলোর অন্যতম ‘সাউথ এশিয়ান ফান্ড ফর এডুকেশন, স্কলারশিপ অ্যান্ড ট্রেনিং’ তথা স্যাফেস্ট’র প্রতিষ্ঠাতা-সিইও মাজেদা উদ্দিন।
এই বিলে এখন পর্যন্ত স্বাক্ষরকারি সিনেটরদের মধ্যে রয়েছেন রোবার্ট জ্যাকসন, লুইসন সেপুলভেদা, মনিকা মার্টিনেজ, এ্যান্ড্রু গাউনারডেস, ডিন ম্যুরে, জেলনোর মাইরি, কেভিন এস পারকার, জুলিয়া সালাজার, টবি অ্যান স্টভিস্কি, কেবিন থমাস, জ্যাক এস মার্টিন্ম, ব্র্যাড হোইলমেন-সিগ্যাল। অ্যাসেম্বলীম্যানের মধ্যে আছেন জোহরান মামদানী, নাদের জে সায়েঘ, সারাহানা শ্রেষ্ঠ্য, হারভে স্টাইন, জেফরিয়ন অব্রে, জন জ্যাকারো, ইউডেলকা তাপিয়া, ফিলিপ র্যামোস, ক্রিস ব্রডরিক, জেসিকা গঞ্জালেজ-রোজার্স, স্টিভেন রাগা, ডেভিড ওয়েপ্রিন, স্যাম বার্গার, উইলিয়াম কোল্টন, নাইলি রোজিক, এইলিন গুন্থের, জর্জ অ্যালভেরেজ, মিশেল সোলেজেস, স্টিভ স্টেম প্রমুখ।