দেশে গ্যাসের চাহিদা মেটাতে সিঙ্গাপুরের দু’টি প্রতিষ্ঠান থেকে তিন কার্গো লিকুইডিফাইড ন্যাচারাল গ্যাস (এলএনজি) কেনার অনুমোদন দিয়েছে সরকার। এতে মোট খরচ হবে ১ হাজার ২৭৪ কোটি ১১ লাখ ৭৬ হাজার ৫২০ টাকা।
বুধবার দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মুহাম্মদ আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির তৃতীয় বৈঠকে এ সংক্রান্ত তিনটি পৃথক প্রস্তাবের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে সিঙ্গাপুরের এমএস গুলবার সিঙ্গাপুর প্রাইভেট লিমিটেডের কাছ থেকে এক কার্গো এলএনজি কেনার প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে ব্যয় হবে ৪২৫ কোটি ৮১ লাখ ৫৭ হাজার ৯৪০ টাকা।
অপর এক প্রস্তাবে সিঙ্গাপুরের একই প্রতিষ্ঠান এমএস গুলবার সিঙ্গাপুর প্রাইভেট লিমিটেডের কাছ থেকে এক কার্গো এলএনজি কেনার প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতেও ব্যয় হবে ৪২৫ কোটি ৮১ লাখ ৫৭ হাজার ৯৪০ টাকা। প্রতি এমএমবিটিইউ এর মূল্য পড়বে ৯ দশমিক ৮৪৭০ মার্কিন ডলার। আগে ছিল ৯ দশমিক ৯৩০ ডলার।
এছাড়া জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে সিঙ্গাপুরের এমএস ভিটল এশিয়া প্রাইভেট লিমিটেডের কাছ থেকে এক কার্গো এলএনজি কেনার প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে খরচ হবে ৪২২ কোটি ৪৮ লাখ ৬০ হাজার ৬৪০ টাকা। প্রতি এমএমবিটিইউর মূল্য পড়বে ৯ দশমিক ৭৭০ মার্কিন ডলার।
এর আগে গত ৩১ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে সিঙ্গাপুরের প্রতিষ্ঠান ‘মেসার্স ভিটল এশিয়া পিটিই লিমিটেড’ থেকে এক কার্গো এলএনজি ৪২৯ কোটি ৪০ লাখ ৫০ হাজার টাকায় কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়।
২২ জানুয়ারি সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ‘টোটাল এনার্জিস গ্যাস অ্যান্ড পাওয়ার লিমিটেড’ থেকে ফেব্রুয়ারি মাসের জন্য এক কার্গো এলএনজি কেনার প্রস্তাব অনুমোদন দেয় সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। প্রতি এমএমবিটিইউ ১০ দশমিক ৮৮ মার্কিন ডলার হিসাবে ওই কার্গোটি আমদানিতে ট্যাক্স ও ভ্যাটসহ মোট ব্যয় ধরা হয় ৪৭০ কোটি ৪৮ লাখ ৬০ হাজার টাকা।