অং সান সুচি সরকারকে উৎখাত করে ক্ষমতা দখল করা জান্তার বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে লড়াই চালিয়ে আসছে মিয়ানমারের আরাকান আর্মিসহ কিছু সশস্ত্র গোষ্ঠী। অভ্যুত্থানের পর থেকে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী গত তিন বছরে দেশের অনেক স্থানের নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে। বর্তমানে সামরিক বাহিনী এমন সশস্ত্র প্রতিরোধের মুখে পড়েছে, যা এর আগে মিয়ানমারের ইতিহাসে কখনও ঘটেনি।
সংঘাতপূর্ণ মিয়ানমারের জন্য একটি নতুন মানবিক উদ্যোগের পরিকল্পনা করছে থাইল্যান্ড। উদ্যোগটির লক্ষ্য জান্তাশাসিত মিয়ানমারের যুদ্ধরত পক্ষগুলোর মধ্যে আলোচনার পথ প্রশস্ত করা।
থাইল্যান্ডের উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, পরিকল্পনার আওতায় তারা মিয়ানমারের সীমান্তবর্তী স্থানীয় সম্প্রদায়সহ সংঘাতে বাস্তুচ্যুত প্রায় ২০ হাজার মানুষের মধ্যে খাদ্য-চিকিৎসাসামগ্রী সরবরাহ করতে চান।
থাইল্যান্ডের উপপররাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রত্যাশা, পরিকল্পনাটি ১০ সদস্যের দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর জোটের (আসিয়ান) শান্তিপ্রক্রিয়ার প্রচেষ্টাকে জোরদার করবে।
থাইল্যান্ডের উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা মিয়ানমারকে অস্থিতিশীল দেখতে চাই না। প্রক্রিয়াটি (শান্তি) অবশ্যই কার্যকর, বিশ্বাসযোগ্য ও স্বচ্ছ হতে হবে।’
থাইল্যান্ডের উদ্যোগটির প্রতি গত সপ্তাহেই সমর্থন দিয়েছেন আসিয়ানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা। এছাড়া মিয়ানমারের একজন প্রতিনিধিও উদ্যোগটির প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন।
উদ্যোগের আওতায় আসিয়ানের মানবিক সহায়তা সংস্থার পর্যবেক্ষণে মাঠপর্যায়ে সহায়তাসামগ্রী সরবরাহ করবে থাইল্যান্ড ও মিয়ানমারের রেডক্রস।
২০২১ সালে মিয়ানমারের সামরিক জান্তা অভ্যুত্থানের মাধ্যমে দেশটির ক্ষমতা দখল করে। অভ্যুত্থানের পর থেকে গত তিন বছরে দেশের অনেক স্থানের নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে দেশটির সামরিক বাহিনী।
সূত্র : রয়টার্স।