পাকিস্তানকে উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ দেশের তালিকা থেকে বাদ দিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)।
পাকিস্তানের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বুধবার এক বিবৃতিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, নতুন উন্নয়ন ইউরোপীয় অর্থনৈতিক অপারেটরদের স্বাচ্ছন্দ্যের স্তরে যোগ করবে এবং সম্ভবত ইইউতে পাকিস্তানি সত্তা এবং ব্যক্তিদের আইনি ও আর্থিক লেনদেনের খরচ এবং সময় কমিয়ে দেবে।
এই ব্যাপারটিকে ইঙ্গিত করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, “(ইউরোপীয় ইউনিয়নের) নতুন এই সিদ্ধান্তের ফলে ইউরোপের অর্থনীতির সঙ্গে পাকিস্তানের ব্যবসায়ীদের বৈধ ও অর্থনৈতিক লেনদেনের খরচ ও সময়— উভয়ই হ্রাস পাবে।”
পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারিও এক টুইটে বলেছেন, ইইউ কর্তৃপক্ষ পাকিস্তানকে উচ্চ ঝুঁকির তালিকা থেকে বাদ দিয়েছে। (পাকিস্তানের) ব্যবসায়ীদের ভোগান্তি অনেকাংশে হ্রাস পেল এই সিদ্ধান্তের ফলে।
যেসব দেশের সরকারি নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলো দুর্বল এবং অর্থনৈতিক অপরাধ ও সন্ত্রাসবাদে অর্থায়ন প্রতিহত করতে অনেকাংশে ব্যর্থ— সেসব দেশকেই উচ্চ ঝুঁকিপুর্ণ দেশ বা হাই রিস্ক থার্ড কান্ট্রি’র তালিকাভুক্ত করে ইইউ। একবার যদি কোনও দেশের নাম এই তালিকায় অন্তর্ভূক্ত হয়, সেক্ষেত্রে ইউরোপের দেশগুলোর সঙ্গে বাণিজ্যের ক্ষেত্রে বর্ধিত যাচাই-বাছাই সহ আরও কিছু আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে যেতে হয় ওই দেশের ব্যবসায়ীদের। ফলে বাণিজ্যখরচ বেড়ে যায়।
পাকিস্তানের অর্থ মন্ত্রণালয়ের সাবেক উপদেষ্টা খাকান নাজীব ইইউর এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে বলেছেন, “ইইউ’র হাই রিস্ক থার্ড কান্ট্রিজ তালিকা এবং এফএটিফ (সন্ত্রাসবাদে অর্থায়নের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা) তালিকায় অন্তর্ভুক্তির কারণে বৈদেশিক বাণিজ্য ও ঋণ পেতে ব্যাপক বাধার মুখে পড়তে হতো। ইইউ’র তালিকা থেকে পাকিস্তানের নাম মুছেছে, আশা করছি অদূর ভবিষ্যতে এফএটিএফ তালিকা থেকেও বাদ পড়বে পাকিস্তান। সূত্র: আল জাজিরা